রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৯ অপরাহ্ন

মুরাদনগরে বিএনপি ও এনসিপির জনসভা ঘিরে উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময়ঃ শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
  • ২ প্রদর্শন করেছেন

কুমিল্লার মুরাদনগরে একই দিনে পাশাপাশি এলাকায় জনসভা করবে বিএনপি ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ দুই সমাবেশকে ঘিরে পুরো উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শনিবার বিকালে উপজেলার হায়দরাবাদ এলাকায় জনসভার আয়োজন করেছে বিএনপি। একই সময় উপজেলার পীর কাশিমপুর এলাকায় জনসভার করবে এনসিপি। তবে দুই দলের কেউই শোডাউন ও জনসভার অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেনি বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

দুদলের জনসভাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উত্তেজনা থাকলেও বাস্তবে দুটি অনুষ্ঠানের দূরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার। এতে সংঘাত কিংবা সহিংসতার আশঙ্কা করছেন না সংশ্লিষ্টরা। তবে দুই রাজনৈতিক দলের নেতারা জনসভার আয়োজন ও খরচের উৎস নিয়ে পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করেছেন।

বিএনপি নেতারা বলছেন, শনিবার আন্দিকোট ইউনিয়নের হায়দরাবাদ সামসুল হক কলেজ মাঠে পূর্ব থেকেই জনসভার ডাক দিয়েছে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের। জনসভা সফল করতে এলাকায় পোষ্টার  সাটানো ও মাইকিং করে চালানো হয়েছে প্রচারণা।

এনপিসি নেতারা বলছেন, তারাও শনিবার একই সময়ে বিএনপির সভাস্থলের পার্শ্ববর্তী আকবপুর ইউনিয়নের পীর কাশিমপুর হাইস্কুল মাঠে বাঙ্গরা দলটির বাজার শাখার উদ্যোগে জনসভার ডাক দিয়েছে। ওই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়ার বাবা মো. বিল্লাল হোসেন মাস্টার।

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি একটি নতুন দল। তাদেরকে অবশ্যই স্বাগত জানাই। তবে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপি তাদেরকে কখনোই প্রতিপক্ষ হিসেবে মনে করে না।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুরাদনগর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক উবাইদুল হক সিদ্দিকী বলেন, ‘সামনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের সভা-সমাবেশ চলছে। শুনেছি বিএনপি একটি জনসভা করছে। তবে সেটা অন্য ইউনিয়নে। আমাদের প্রোগ্রাম থেকে সাত কিলোমিটার দূরে। দুটো প্রোগ্রামই যার যার দলীয়।’

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবদুর রহমান বলেন, ‘জনসভা করার বিষয়ে দুই দলের কারো পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি চাওয়া হয়নি। বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ