দীর্ঘদিন ধরে দেওয়া হয় না মাদ্রাসা জমির খাজনা। সেই টাকা পরিশোধে বিক্রি করা হয় সরকারিভাবে দেওয়া বই। মাদ্রাসা সভাপতির নির্দেশে বইগুলো বিক্রি করছেন মাদ্রাসা সুপার। বিক্রি শেষে বইগুলো তোলা হচ্ছিল পিকআপে। বিষয়টি টের পেয়ে এতে বাধা দেন স্থানীয়রা।
মঙ্গলাবর পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পশ্চিম বালিপাড়া নূরিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নূরিয়া দাখিল মাদ্রাসার মাঠে বই ভর্তি একটি পিকআপ দেখতে পান স্থানীয়রা। ওই সময় পিকআপে বই লোড দিচ্ছিলেন ড্রাইভার ও বই ক্রেতা বাবুল শেখ। পাশেই ছিলেন মাদ্রসা সুপার মাওলানা ইউনুস আলী। অবৈধভাবে বই বিক্রি হচ্ছে এটা বুঝে স্থানীয়রা তাদের বাধা দেয়। পিকআপ থেকে বইগুলো নামান।
বই ক্রেতা মাদারীপুর থেকে আসা বাবুল শেখ বলেন, ‘মাদ্রাসা সুপার আমাকে ফোন করে এনেছেন। ১৬ টাকা কেজি দরে ১৪ মণ বই কিনেছি।’
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ইউনুস আলী বলেন, ‘ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির অনুমতিতে বইগুলো বিক্রি করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাদ্রাসার জমির খাজনা বাকি পড়েছে। সেই টাকা পরিশোধে বইগুলো বিক্রি করা হয়েছে।’
স্থানীয় বাসিন্দা মোশারেফ গাজী বলেন, ‘মাদ্রাসার সামনে বই ভর্তি পিকআপ দেখতে পেয়ে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে সুপারের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, সভাপতি বই বিক্রি করতে বলেছেন।
মাদ্রাসার অ্যাডহক কমিটির সভাপতি মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার খাজনা বকেয়া থাকায় বই বিক্রির টাকা দিয়ে সেটা পরিশোধ করা হবে। এ জন্য বইগুলো বিক্রি করা হয়েছে।’
ইন্দুরকানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান বিন মুহাম্মাদ আলী বলেন, ‘মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’