শচীনকন্যার প্রসাধনী নিশ্চয়ই নামিদামি ও যত্রতত্র মিলবে না বা নানা রকমের ধাপ-পদ্ধতিতে ভরা থাকবে। সারা টেন্ডুলকরাকে নিয়ে এমন ধারণা থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে সবাইকে ভুল প্রমাণ করে সারা নিজেই প্রকাশ করলেন তার ত্বকচর্চার রুটিন।
সামাজিক মাধ্যমের প্রতি ভরসা নয়; বিজ্ঞানের ওপর নির্ভরশীল শচীন টেন্ডুলকারের কন্যা সারা টেন্ডুলকার। তা সে স্বাস্থ্যচর্চা হোক কিংবা ত্বকচর্চা। বায়োমেডিকেল সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা সারা ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য কী করা উচিত এবং অনুচিত, তা বলার আগে বা প্রয়োগের আগে বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়েছেন। নিজস্ব জ্ঞান আর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ত্বক ও রূপচর্চা করেন তিনি। সেই টোটকা গোপন না রেখে অনুরাগীদের সঙ্গে শেয়ার করেও নেন শচীনকন্যা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সারা জানিয়েছেন, উজ্জ্বল ও সতেজ ত্বকের রহস্য দামি প্রসাধনী নয়, বরং সহজ ও নিয়মিত যত্ন। হয়তো মনে হতে পারে, টেন্ডুলকরকন্যার প্রসাধনী নিশ্চয়ই নামি-দামি, যত্রতত্র মিলবে না, বিষয়টি সে রকম নয়। মুখ ধোয়া, হালকা টোনার বা সিরাম, ময়েশ্চারাইজার আর সানস্ক্রিন— এ ছাড়া সারার দৈনন্দিন রুটিনে আর তেমন কিছুই থাকে না। মাঝে মাঝে সামান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য অ্যাসিড পিল ব্যবহার করেন তিনি। তবে সেটিও খুব বেশি নয়; অ্যাসিড পিল ব্যবহার করা হয় ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ করার জন্য।
সারা বলেন, ত্বকের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসে জীবনযাপনের অভ্যাস থেকে। ল দুগ্ধজাত খাবার ও অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার কমানো, শরীরকে আর্দ্র রাখতে যথেষ্ট পানি পান করা এবং পর্যাপ্ত ঘুম— এই সহজ নিয়মই আমার ত্বককে সুস্থ আর উজ্জ্বল রাখে। তিনি বলেন, প্রসাধনীর চেয়ে এই অভ্যাসগুলোই বেশি কার্যকরী। তাই ত্বকচর্চা নিয়ে সারার দর্শন একেবারেই সরল ও সহজ। নিয়মে ধারাবাহিকতা, আর তার সঙ্গে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। এই হলো তার সৌন্দর্যের গোপন রহস্য।