বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রধান বিজয়ী চীন ও রাশিয়া: শি জিনপিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৭ প্রদর্শন করেছেন

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রধান বিজয়ী শক্তি হলো চীন ও রাশিয়া। বেইজিংয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

২ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে রুশ বার্তা সংস্থা তাস।

শি জিনপিং বলেন, ‘৯ মে এবং ৩ সেপ্টেম্বর আমরা একে অপরের অতিথি হয়ে বিশ্ব ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধের বিজয় উদযাপনে অংশ নিই। এটি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের একটি ভালো ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। এটি প্রমাণ করে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রধান বিজয়ী দেশ ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে চীন ও রাশিয়া বড় দায়িত্ব বহন করে।’

তিনি আরও বলেন, এসব অনুষ্ঠানে চীন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের অংশগ্রহণ প্রমাণ করে—দুই দেশই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সত্য ইতিহাস রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

৮০তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে মহাপ্যারেড

চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৮০তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে মহাপ্যারেড অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারা অংশ নেবেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের বার্তা দিয়ে শি জিনপিং চীন-রাশিয়ার ঐতিহাসিক মৈত্রী ও কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরছেন।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রধান বিজয়ী শক্তি হিসেবে চীন ও রাশিয়াকে (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) ধরা হয় কয়েকটি কারণে:

জার্মান নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ করেছে সোভিয়েতরা। স্টালিনগ্রাদ ও কুর্স্কের মতো যুদ্ধে নাৎসিরা ভীষণভাবে পরাজিত হয়।

সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।

চীনের অবদান

১৯৩৭ সাল থেকে জাপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে চীন। দীর্ঘ ৮ বছরের লড়াইয়ে জাপানের অনেক সামরিক শক্তি আটকে যায়। প্রায় ২ কোটি চীনা প্রাণ হারায়।

জাতিসংঘে ভূমিকা

যুদ্ধ শেষে জাতিসংঘ গঠন হয়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীন—দুই দেশই নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হয়।

বর্তমান সময়ে গুরুত্ব

আজও চীন ও রাশিয়া বলে যে তারা যুদ্ধের প্রধান বিজয়ী। এর মাধ্যমে তারা বিশ্ব রাজনীতিতে নিজেদের ঐতিহাসিক ভূমিকা ও দায়িত্ব তুলে ধরে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ