কক্সবাজারের টেকনাফ ও শাহপরীর দ্বীপ ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যাওয়া পাঁচ ট্রলার ও ৪০ জন জেলেকে আটক করেছে মায়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি।
মায়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির পরিচালিত আরাকান গ্লোবাল নেটওয়ার্ক নামে একটি ব্লগ পোস্টে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ৪০ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এদিকে টেকনাফ খায়ুকখালী ঘাট ও শাহপরীর দ্বীপ বোট ঘাটের তিনটি ট্রলার ও ২৫ জন জেলে আটকের বিষয়ে নিশ্চিত করেছে ট্রলার মালিক সমিতি। আরও দুটি ট্রলার আটকের খবর তারা জানলে এখনো মালিক নিশ্চিত করতে পারেননি বলে জানান তারা।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিনের বিভিন্ন সময়ে সেন্টমার্টিনের কাছাকাছি নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা সংলগ্ন এলাকা থেকে এসব ট্রলার আটক করা হয়।
টেকনাফের কায়ুকখালী ঘাট বোট মালিক সমিতির সভাপতি সাজেদ আহমেদ বলেন, সেন্টমার্টিন দক্ষিণ থেকে মাছ শিকার করে টেকনাফ কায়ুকখালী বোট ঘাটে ফেরার পথে বঙ্গোপসাগর ও নাফ নদীর মোহনার কাছাকাছি এলাকা থেকে আরাকানি আর্মি আমার ঘাটের দুটি ট্রলার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। স্থানীয় মোহাম্মদ ইউনুছ ও দেলোয়ার হোসেনের মালিকানাধীন ট্রলার দুটিতে ১৫ জন জেলে রয়েছেন।
শাহপরীর দ্বীপের ট্রলার মালিক সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, ‘আমার ট্রলারটি সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ে ফেরেনি। আরাকান আর্মি কয়েকটি ট্রলার আটকের খবর গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক নামক একটি ফেসবুক পেজে আটক জেলেদের ছবিসহ প্রকাশ করেছে। ওই ছবিতে আমি আমার ট্রলারের দুইজন জেলেকে সনাক্ত করতে পেরেছি। আমার ট্রলারটিতে ১০ জন জেলে ছিল।’
শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাট বোট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল গফুর বলেন, ‘শাহপরীর দ্বীপ বোট ঘাটের একটি ট্রলার মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত হয়েছি। টেকনাফ খায়ুকখালী ঘাট থেকেও আরাকান আর্মি দুটি ট্রলার আটক করেছে। এছাড়া শাহপরীর দ্বীপ ঘাটের আরও দুটি ট্রলার আটক করেছে এমন খবর পাওয়া গেলেও এখনো ট্রলার মালিক পাওয়া যায়নি।’
উল্লেখ্য, আগস্ট মাসের ৫ তারিখ থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ৬৯ জন জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকার আর্মি। সবশেষ ৩১ আগস্ট সকালে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে সাগর থেকে তিনটি বোটসহ ১৮ জন জেলেদের ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি।