কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অভিযানে ১২ জন মানব পাচারকারীকে গ্রেফতার এবং ১১ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে পরিচালিত দুটি পৃথক অভিযানে এ সাফল্য আসে।
বিজিবি জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মেরিন ড্রাইভ ও পার্শ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকায় সংঘবদ্ধ মানব পাচার চক্র সক্রিয় ছিল। এসব চক্র বাংলাদেশ ও মিয়ানমার হয়ে মালয়েশিয়া পর্যন্ত মানব পাচার পরিচালনা করে আসছিল। বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তারা সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলত। যাত্রী সংগ্রহের পর স্থানীয় দালালদের কাছে হস্তান্তর করে তাদের গোপন আস্তানায় রাখা হতো। এসময় ভুক্তভোগীদের মোবাইল ফোন ও অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া হতো, খাবারও অপ্রতুল দেওয়া হতো। অনেক ক্ষেত্রে মুক্তিপণ আদায় করত পাচারকারীরা।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর শাহপীরদ্বীপ মোহনায় সমুদ্রপথে মিয়ানমারের প্রায় ১০০ নাগরিক পাচারের সময় ৪ পাচারকারীকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করে বিজিবি। একই রাতে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন কচ্ছপিয়া ও বড়ইতলি এলাকা থেকে আরও ৮ পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় উদ্ধার করা হয় ১১ জন ভুক্তভোগী।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, এ বছরের জুলাই মাসে ১৫ জন, আগস্টে ৪ জন এবং সেপ্টেম্বর মাসে এখন পর্যন্ত ১৭ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে ২ বিজিবি। চলতি বছর মোট ৬২ মানব পাচারকারী গ্রেফতার হলেও এখনো ২৪ জন পলাতক রয়েছে।
আটক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—আব্দুর রশিদ, মিজানুর রহমান, আবু তৈয়ব, ইদ্রিস, জাহেদ, জুবায়ের, নরুল আবছার, ইসমাইল, ইমরান, নুর মোহাম্মদ, মাহমুদউল্লাহ ও খুরশিদা কোম।
পলাতক আসামিরা হলেন—হোসেন, সাইফুল ও নেজাম।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান পিএসসি বলেন, “মানবতা ও দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্তে যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে মাদক ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।