শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় আকস্মিক বন্যায় সাড়ে ১১ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় রোপা আমনের ৭১০ হেক্টর জমির ধান সম্পূর্ণভাবে বিনষ্ট হওয়ায় ৬ হাজার ৮৮৫ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬৫ হেক্টর জমির। এতে ১ হাজার ৩৯৭ জন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রোপা আমন ও সবজি মিলিয়ে টাকার অঙ্কে ফসলের মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বন্যায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ফরহাদ হোসেন।
বৃষ্টি না হওয়ায় এবং পাহাড়ি ঢল নামা বন্ধ হওয়ায় ঝিনাইগাতীর মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীসহ জেলার অন্যান্য নদী এখন শান্ত রয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠছে বন্যার ক্ষত। মহারশি নদীর বাঁধ ভেঙে ১১টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে। এছাড়া মহারশি নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ১২০ মিটার ভেঙে ক্ষতি হয়েছে।
এবারের আকস্মিক বন্যায় ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি নদীতে এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার চেল্লাখালী নদীর পানিতে ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে গিয়ে দুইজন বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে।
টানা ভারি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মহারশি নদীর তীর রক্ষা বাঁধের ৫টি স্থানে প্রায় ১২০ মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান।
এদিকে শেরপুরের জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান ঝিনাইগাতীর বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সময়ের মধ্যে পুনর্বাসনের আশ্বাস প্রদান করেছেন। সেইসঙ্গে ভাঙা বাঁধটি দ্রুত সময়ে মেরামতের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান এবং গৃহহীন পরিবারের সদস্যদের মাঝে চাল, ডালসহ শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।