মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল নেপাল

স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৫ প্রদর্শন করেছেন

শারজাহতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৯ রানে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে নেপাল। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই প্রথম কোনো পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে জয় পেল তারা। ২০১৪ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নেপালের একটি জয় ছিল, তবে তখন আফগানিস্তান ছিল সহযোগী দল। এই ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নেপালের প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। সেই সিরিজের প্রথম ম্যাচেই দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দিনটিকে আরও স্মরণীয় করে রাখল নেপাল।

টসে জিতে ফিল্ডিং নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক আকিল হোসেইন। নেপালের শুরুটা ভালো হয়নি। ৩.১ ওভারেই দুই ওপেনার ফেরেন। কুশাল ভুর্তেল হোসেইনের আর্ম বল খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন। আসিফ শেখ জেসন হোল্ডারের বলে লফটেড শট মারতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দেন।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভার পর্যন্ত নেপাল মেরেছিল মাত্র দুইটি বাউন্ডারি। ষষ্ঠ ওভারে অভিষিক্ত রেমন সিমন্ডসের পরপর দুটি চারে সেই সংখ্যা বাড়ান অধিনায়ক রোহিত পোড়েল। তবে আসল গতি এনে দেন কুশাল মাল্লা। তিনি প্রথমে ফাবিয়ান অ্যালেনকে লং অনে চার মারেন। এরপর তার পরের ওভারেই পাঠান স্ট্যান্ডে ছক্কা। পরে ওবেড ম্যাকয়ের বলেও একটি ছক্কা মারেন মাল্লা।

দশ ওভার শেষে নেপালের রান হয় ৬৮/২। মাল্লা ও পোড়েল মিলে ৭০ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন। তবে দুজনেই আউট হন আরেক অভিষিক্ত লেগ স্পিনার নবিন বিদাইসির শিকার হয়ে। শেষ দিকে গুলসান ঝা ও দিপেন্দ্র সিং আইরিরা রান তোলার চেষ্টা করেন। তাদের সামলেও বিদাইসি চার ওভারে ২৯ রানে ৩ উইকেট নেন। উনিশতম ওভারে জেসন হোল্ডার নেন তিনটি উইকেট। তবু নেপাল লড়াকু ১৪৮/৮ স্কোর জড়ো করে বোর্ডে।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই চার মারেন কাইল মেয়ার্স। কিন্তু এরপরই ধস নামে। দ্বিতীয় ওভারে ভুর্তেলের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হয়ে যান মেয়ার্স। নবাগত আকিম অগাস্টি দুইটি ছক্কা মারলেও পাওয়ার প্লের মধ্যে তিনিও আউট হন। ছয় ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ছিল ৪০/২।

এরপর নেপালি স্পিনাররা ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন। পরের চার ওভারে রোহিত পোড়েল ও ললিত রাজবংশী মাত্র ১৬ রান দেন এবং একটি করে উইকেট নেন।

শেষ দশ ওভারে ৯৩ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সেই সময়ে এগিয়ে ছিল নেপাল। তিন ওভার পরে দিপেন্দ্র সিং আইরির চমৎকার থ্রোতে রান আউট হন কেসি কার্টি। এরপর ভরসা ছিল জেসন হোল্ডারের ওপর। কিন্তু তিনি মাত্র ৫ রান করে ভুর্তেলের বলেই ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন।

নবিন বিদাইসি, অ্যালেন ও হোসেইন ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা করলেও আস্কিং রেটটা চড়চড় করে বেড়েই যাচ্ছিল। শেষ পাঁচ ওভারে দরকার ছিল ৭০ রান। শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল ৪৯ রান।

আঠারোতম ওভারে নেপালের ফিল্ডাররা দু’বার হোসেইনের ক্যাচ ফেলেন। প্রথমটি চার আর দ্বিতীয়টিতে ছক্কা পেয়ে যায় উইন্ডিজ। কিন্তু পরের ওভারেই করণ কেসি আকিলকে আউট করে দেন। শেষ ওভারে অ্যালেনের দরকার ছিল ২৮ রান। তিনি তা করতে পারেননি। ফলে নেপাল পেয়ে যায় ঐতিহাসিক জয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ