বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন

শিল্পা শেঠিকে ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ, কেন?

বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৩ প্রদর্শন করেছেন

বলিউড অভিনেত্রী শিল্পা শেঠিকে ৮ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মুম্বাই পুলিশের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং।

সোমবার স্বামী রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে ৬০ কোটি রুপির প্রতারণা মামলায় অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়াডটকম।

দেশটির পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিল্পার বাড়িতেই তদন্তকারী দল গিয়ে তাকে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় তার সম্পূর্ণ বিবৃতি লিপিবদ্ধ করা হয়।

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করে বিজ্ঞাপনী সংস্থার ব্যাংক হিসাবসম্পর্কিত লেনদেনের বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন অভিনেত্রী।

তদন্তের সময় পুলিশের হাতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক নথি ও চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেছেন শিল্পা। যা এখন যাচাই-বাছাইয়ের পর্যায়ে রয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, অভিনেত্রী কোম্পানির অর্থ ব্যবস্থাপনায় নিজের ভূমিকা ব্যাখ্যা করেছেন এবং তহবিল ব্যবহারের পদ্ধতি স্পষ্ট করেছেন।

এদিকে মামলায় শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রার বয়ান আগেই রেকর্ড করেছে মুম্বাই পুলিশ। গত সেপ্টেম্বরে মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছিল, অভিনেত্রী ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে ৬০ কোটি রুপির প্রতারণার অভিযোগে তদন্ত চলছে। রাজ কুন্দ্রাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছিল। তাকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তিনি বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর দেননি। তাই আগামী সপ্তাহে তাকে আবার তলব করা হতে পারে।

ব্যবসায়ী দীপক কোঠারি অভিযোগ করেছেন, এই দম্পতি তার কাছ থেকে ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে ৬০ কোটির বেশি টাকা নিয়েছিলেন; কিন্তু তা ব্যক্তিগত খরচে ব্যবহার করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজ কুন্দ্রা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, টাকার একটি অংশ অভিনেত্রী বিপাশা বসু ও নেহা ধুপিয়ার পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া হয়।

ইতোমধ্যে শিল্পা শেঠি, বিপাশা বসু, নেহা ধুপিয়াসহ চার অভিনেত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা স্থানান্তরের তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এছাড়া বালাজি এন্টারটেইনমেন্টের সঙ্গেও সংশ্লিষ্ট কিছু লেনদেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ এখন শিল্পার জমা দেওয়া নথি যাচাই করছে। রাজ কুন্দ্রাকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে। মুম্বাই পুলিশ বলেছে, কোম্পানির তহবিলের অপব্যবহার ও অর্থ স্থানান্তরের উদ্দেশ্য খুঁজে বের করাই এখন তদন্তের মূল লক্ষ্য।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ