আবুধাবিতে আজ দিবা-রাত্রির দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ নামছে সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে। প্রথম ওয়ানডে পাঁচ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আফগানিস্তান। আজ হারলে একদিবসী ক্রিকেটে আফগানদের বিপক্ষে সিরিজ হারের হ্যাটট্রিক হয়ে যাবে মেহেদী হাসান মিরাজদের।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগের চারটি ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটি জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে শেষ দুটি সিরিজ জিতেছে আফগানরা। গত এক মাসে এশিয়া কাপ ও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে আফগানদের চারবার হারালেও ওয়ানডেতে ব্যর্থতার চোরাবালিতে হাবুডুবু খাচ্ছে বাংলাদেশ। এ বছর ওয়ানডেতে ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই হেরেছে দল। সব মিলিয়ে গত ১২ মাসে মাত্র দুটি ওয়ানডে জিতেছে বাংলাদেশ।
বাজে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে দশে নেমে গেছে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে ২০২৭ সালের মার্চের র্যাংকিংয়ে শীর্ষ আটে থাকতে হবে। প্রতিটি ম্যাচই তাই বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ানডে র্যাংকিংয়ে সাতে থাকা আফগানিস্তানকে আজ হারাতে পারলে সিরিজে টিকে থাকার পাশাপাশি রেটিং পয়েন্ট বাড়বে বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে মঙ্গলবারের শেষ ম্যাচটি রূপ নেবে অলিখিত ফাইনালে।
আগের ম্যাচে ভালো শুরুর পরও বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২২১ রানে। টি-টোয়েন্টিতে ছক্কার সুনামি বইয়ে দিলেও ওয়ানডে অভিষেকে ঝড় তুলতে পারেননি সাইফ হাসান। অধিনায়ক মিরাজ ও তাওহিদ হৃদয় ফিফটি পেলেও মেটাতে পারেননি সময়ের দাবি। সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত একদমই ছন্দে নেই। আফগান স্পিনের জবাব খুঁজে না পেয়ে ১৬৮টি ডটবল খেলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
আজ সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে এই জায়গায় উন্নতির কোনো বিকল্প নেই। মিরাজ, জাকের আলী ও নুরুল হাসানকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা শেষ করে দিয়েছিলেন রশিদ খান। তবে ব্যবধান গড়ে দেয় আজমত উল্লাহ ওমর জাইয়ের অলরাউন্ড নৈপুণ্য।
আজ এ দুজনকে ভালোভাবে সামলানোর ওপর নির্ভর করছে সিরিজের ভাগ্য। পাশাপাশি জ্বলে উঠতে হবে বোলারদেরও।