লিসবনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১–০ গোলে জয় পেয়েছে পর্তুগাল। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এই ম্যাচে রোমাঞ্চের সব উপাদানই ছিল—রোনালদোর পেনাল্টি মিস, আয়ারল্যান্ড গোলরক্ষকের বীরত্ব, আর শেষ মিনিটে রুবেন নেভেসের জয়সূচক গোল।
রবার্তো মার্টিনেসের দল শুরু থেকেই আধিপত্য দেখায়। তারা একেরপর এক আক্রমণ চালিয়েই গেছে, তবে গোলের দেখা যেন কিছুতেই পাচ্ছিল না। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে রোনালদোর শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ৭৫তম মিনিটে তার নেওয়া পেনাল্টি দারুণভাবে ঠেকিয়ে দেন আয়ারল্যান্ডের গোলরক্ষক কাওইমিন কেলাহার।
রোনালদো নিজের দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গোলসংখ্যার রেকর্ড আরও বাড়ানোর সুযোগ খুঁজছিলেন। কিন্তু আয়ারল্যান্ডের গোলরক্ষক ছিলেন অনবদ্য। তিনিই ছিলেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়। তিনি শুধু রোনালদোর পেনাল্টিই নয়, ব্রুনো ফার্নান্দেস, ভিতিনিয়া ও বের্নার্দো সিলভার শটও ঠেকান। পর্তুগালের আক্রমণ একের পর এক ফিরে আসে, আর হতাশা বাড়তে থাকে।
ওদিকে আয়ারল্যান্ডের আক্রমণ প্রায় ছিল না বললেই চলে। ম্যাচের ১৩তম মিনিটে এবোসেলে একবার পর্তুগাল গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তাকে পরীক্ষা নেন। এরপর পুরো ম্যাচজুড়েই আয়ারল্যান্ড ছিল রক্ষণে ব্যস্ত, আর বলের দখল ছিল পর্তুগালের।
অবশেষে ৯০তম মিনিটে পর্তুগাল মুক্তি পায় রুবেন নেভেসের গোলে। আল হিলালের এই মিডফিল্ডার ফ্রান্সিসকো ট্রিনকাওয়ের ক্রস থেকে হেডে গোল করে পর্তুগালকে জয় এনে দেন। গোলের পর নেভেস সেটি উৎসর্গ করেন প্রয়াত বন্ধু দিয়োগো জোটাকে। গোল উদ্যাপনের সময় তিনি নিজের পায়ে জোটার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো একটি ট্যাটু দেখান।
তিন ম্যাচে তিন জয় নিয়ে গ্রুপ ‘এফ’-এর শীর্ষে আছে পর্তুগাল। দ্বিতীয় স্থানে হাঙ্গেরি ৪ পয়েন্টে, এরপর আর্মেনিয়া ৩ ও আয়ারল্যান্ড ১ পয়েন্টে। পর্তুগালের পরের ম্যাচও লিসবনে, প্রতিপক্ষ হাঙ্গেরি।