শেষ কিছু দিনে বাংলাদেশের মিডল অর্ডার যেন ছিল বেহুলার বাসর। মাঝের ব্যাটাররা বড় রান যেন করতেই পারছিলেন না। যার ফলে দলও ভুগছিল, তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছিল দলের ইনিংস। সে কারণেই দলে নেওয়া হয়েছিল মাহিদুল অঙ্কনকে।
অভিষেকে নেহায়েত মন্দ করেননি তিনি। ৭৬ বলে করেছেন ৪৬ রান। স্ট্রাইক রেট নিয়ে কথা উঠতেই পারে, মোটে ৬০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন। তবে দলের হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ার অভ্যাসের কথা মাথায় রাখলে সেটা একপাশে রাখাই যায়। নিয়মিত ধসে পড়ার রেওয়াজে যে যদিচিহ্ন টানতে পেরেছেন অঙ্কন!
নাজমুল হোসেন শান্তর বিদায়ে উইকেটে আসেন তিনি। এরপর তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে গড়েন ৩৬ রানের জুটি। তার বিদায়ের পর মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। তাতে যদিও বড় রানের দিশা পায়নি দল, তবু ধসটা তো সামাল দেওয়া গেল!
মনে হচ্ছিল চতুর্থ বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে অভিষেকে ফিফটির দেখাটা পেয়েই যাবেন অঙ্কন। ঠিক তখনই ছন্দপতন ঘটল তার। রস্টন চেসের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। ৪৬ রানে শেষ হয় তার অভিষেক ইনিংস।