নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর নিয়মনীতি অমান্য এবং অনুমোদিত নকশা ব্যত্যয় করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা বেশ কয়েকটি ভবনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে উচ্ছেদ অভিযান করা হয়েছে। অভিযানে অবৈধভাবে গড়ে তোলা কয়েকটি ভবনের সেটব্যাক অপসারণ সহ নিয়মনীতি অমান্য করা নির্মাণাধীন ভবনের অবৈধ বর্ধিতাংশ ভেঙে অপসারণ করা হয়। অভিযানে ডিপিডিসির মাধ্যমে নকশা ব্যত্যয়কৃত ১০ (দশ) টি নির্মাণাধীন ভবনের বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ করে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
বুধবার (২২ অক্টোবর, ২০২৫ ইং) রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বেলায়েত হোসেন ও সাব জোন (৬/২) এবং (৬/৩) অথরাইজড অফিসার, অতিরিক্ত দায়িত্ব; উপপরিচালক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-২) জান্নাতুল মাওয়া এর যৌথ নেতৃত্বে রাজধানীর ডেমরা থানা এলাকার মুসলিম নগর ও শহর পল্লী এলাকায় অনুমোদিত নকশা ব্যত্যয় করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা নির্মাণাধীন ভবনের সেটব্যাক অপসারণ নকশা ব্যত্যয়কৃত অবৈধ বর্ধিতাংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়। নকশা ব্যত্যয়কৃত করে গড়ে তোলা ১০ (দশ) টি নির্মাণাধীন ভবনের বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা কালে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর আওতাধীন ডেমরায় মাতুয়াইল মৌজার মুসলিম নগর ও শহর পল্লী এলাকায় অনুমাদিত নকশা ব্যত্যয় করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা বেশ কয়েকটি বহুতল ভবনের আংশিক অপসারণ করা হয়। সেই সাথে নকশা ব্যত্যয় করে গড়ে তোলা ভবন মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয় যাতে তাঁরা পরবর্তীতে ভবন নির্মাণে নকশা বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ না করেন। অভিযানে ১১ (এগারো) টি নির্মাণাধীন ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগের সার্ভিস লাইন বিচ্ছিন্ন করে ১০(দশ) টি বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ করা হয়। নির্মানাধীন ভবন মালিকদের রাজউকের বিল্ডিং কোড ও অনুমোদিত নকশার নিয়মনীতি মেনে ভবন নির্মাণ করার জন্য সতর্ক করা হয়। নিয়মনীতি অমান্য করা নির্মাণাধীন ভবনে রাজউকের এই উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
উচ্ছেদ অভিযান কালে (৬/২) এর সহকারী অথরাইজড অফিসার শাহানাজ খানম, প্রধান ইমারত পরিদর্শক বাসুদেব ভট্টাচার্য, ইমারত পরিদর্শক মোঃ নাজিম উদ্দিন, মোঃ অমিত হাসান, মলয় চন্দ্র রায়, হায়াত মাহমুদ শামীম, মোঃ শাহ আলম, মোঃ মিল্লাত হোসেন সহ রাজউকের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। অভিযান পরিচালনা কালে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সহায়তা প্রদান করেন।