তিনদিনের ব্যবধানে দুই ম্যাচ। বুধবার দুদলই অনুশীলন করেনি। হোটেলে বিশ্রামে কাটিয়েছেন ক্রিকেটাররা। মিরপুরে মন্থর ও টার্নিং উইকেটে স্পিন ভালোভাবে সামলানো সফলতার চাবিকাঠি! যে দল স্পিনারদের ভালোভাবে সামলাতে পারবে, তারাই জিতবে ওয়ানডে সিরিজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে আজ মিরপুরে বেলা দেড়টায়ই শুরু হবে। সিরিজ ১-১ সমতায় রয়েছে। আজ অলিখিত ফাইনাল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ম্যাচ হারার পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সুপার ওভারে জয় পেয়েছে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্পিনারদের শুধু ব্যবহার করে অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পার্টটাইম অফ-স্পিনার অ্যালিক অ্যাথানাজে ছিলেন তাদের সেরা বোলার।
সাপোর্ট দিয়েছেন আকিল হোসেন, রোস্টন চেজ। আকিল লম্বা বিমান ভ্রমণের পর বাংলাদেশে এসে ১২ ঘণ্টার মধ্যে মাঠে নেমে দলকে জেতান। গুদাকেশ মোতি কিছুটা ব্যয়বহুল ছিলেন, বিশেষ করে ডেথ ওভারে।
দ্বিতীয় ম্যাচে শাই হোপের পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস ছাড়া কেউ নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি। ব্যাটিং অর্ডারের মাঝ ও নিচের দিকের ব্যাটাররা ভালো শুরু পেয়ে তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। এবার ব্যাটিংয়ে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা।
এদিকে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে কেউ সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচে রিশাদ হোসেন টর্নেডো ইনিংস না খেললে বাংলাদেশ দুইশ ছোঁয়া রান করতে পারত না। বোলিংয়ের সময় প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের জুটি বাঁধার সুযোগ করে দিয়েছেন মিরাজরা। বোলিং নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা না থাকলেও যত ভয় ব্যাটিং নিয়ে।
বাংলাদেশ তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৮১৪ ম্যাচের মধ্যে এই প্রথম টাই করে। মিরপুরের উইকেটে বেশি শট খেলা মানেই মৃত্যু ডেকে আনা। তবুও ব্যাটাররা সেই পথে গিয়েই নিজেদের আত্মাহুতি দিয়ে আসেন।
সৌম্য সরকার বলেন, ‘এই উইকেটে বেশি শট খেলা কঠিন। সিঙ্গেল নিয়ে রান এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তা না হলে আউট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’