ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো দাবি করেছেন, তার দেশের হাতে রয়েছে পাঁচ হাজার রুশ তৈরি বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, যা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা অবস্থানে মোতায়েন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যারিবীয় অঞ্চলে সামরিক মোতায়েন বাড়ানোর প্রেক্ষাপটে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভেনেজোলানা দে তেলেভিসিওন-এ সম্প্রচারিত এক সামরিক অনুষ্ঠানে মাদুরো বলেন, বিশ্বের যেকোনো সামরিক বাহিনী ইগলা-এস ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা সম্পর্কে জানে। ভেনেজুয়েলার হাতে এর সংখ্যা পাঁচ হাজারের কম নয়।
রুশ নির্মিত ইগলা-এস ক্ষেপণাস্ত্রগুলো স্বল্প-পাল্লার ও নিচু উচ্চতায় আঘাত হানতে সক্ষম একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা যুক্তরাষ্ট্রের স্টিংগার ক্ষেপণাস্ত্রের সমতুল্য। এগুলো ক্রুজ মিসাইল, ড্রোন, হেলিকপ্টার ও নিচুতে উড়ন্ত যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করতে পারে।
মাদুরো জানান, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এতটাই হালকা যে একজন সৈনিক একাই বহন করতে পারেন। আমরা এগুলো মোতায়েন করেছি দেশের শেষ পাহাড়, শেষ শহর ও শেষ গ্রাম পর্যন্ত।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ৪ হাজার ৫০০ মেরিন ও নৌসেনা সদস্যকে ক্যারিবীয় অঞ্চলে মোতায়েন করেছে। ওয়াশিংটন বলছে, এটি মূলত মাদক চোরাচালান প্রতিরোধ ও সামরিক শক্তি প্রদর্শনের অংশ। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত ক্যারিবীয় উপকূলে বেশ কয়েকটি নৌকায় প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে, যেগুলোকে তারা ‘নার্কো-বোট’ বা মাদকবাহী নৌকা বলে দাবি করেছে।
কিন্তু মার্কিন কংগ্রেসের রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট—উভয় দলের সদস্যরাই এসব হামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
গত সপ্তাহে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযানের অনুমোদন দিয়েছেন সিআইএ-কে। পাশাপাশি তিনি ইঙ্গিত দেন, যুক্তরাষ্ট্র স্থলভাগেও সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের কথা বিবেচনা করছে। ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, এটি প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে ক্ষমতা থেকে সরাতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ প্রয়োগ নীতির অংশ।