জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি সংস্করণ দিয়েই শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ফেরার কথা ছিল ক্রিকেটের। কিন্তু বৃষ্টির কারণে থেমে যায় সেই যাত্রা। অবশেষে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ম্যাচ দিয়েই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। ফিরে এল বগুড়ার ক্রিকেট।
দর্শকদের ঢলই বুঝিয়ে দিয়েছে—এই অঞ্চলের মানুষ কতটা তৃষ্ণার্ত ছিল প্রিয় খেলাটির জন্য। প্রায় ১৬ বছর পর শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে গড়াল প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট ম্যাচ। গ্যালারির উপচে পড়া দর্শকদের উল্লাসে নতুন করে জন্ম হল এই স্টেডিয়ামের।
এই মাঠে সর্বশেষ যুব দলের ম্যাচ হয়েছিল ২০০৯ সালের ২০ নভেম্বর। সেবার বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে মুখোমুখি হয়েছিল। তারও আগে, ২০০৪ সালের যুব বিশ্বকাপে এই মাঠে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কা।
উত্তরবঙ্গের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সঙ্গী করে ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের যাত্রা শুরু হয় এই ভেন্যুতে। ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দিয়েই ওয়ানডে ক্রিকেটের সূচনা। একই বছর ৫ ডিসেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি এই মাঠে অনুষ্ঠিত শেষ ওয়ানডে ছিল।
দারুণ সম্ভাবনাময় এই মাঠে এখন পর্যন্ত মাত্র একটি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে—২০০৬ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে। এরপর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে হারিয়ে যায় বগুড়া স্টেডিয়ামও। দীর্ঘ সময় ধরে আন্তর্জাতিক তো দূরের কথা, ঘরোয়া ক্রিকেট আয়োজনেও অনাগ্রহ দেখিয়েছে বিসিবি।
তবে ইতিহাসে একবার এই মাঠে নারী ক্রিকেটও গড়িয়েছে—২০০৯ সালে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা নারী দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত একটি ওয়ানডে ম্যাচের মাধ্যমে।
বিসিবির বর্তমান কমিটি এনসিএলের আগে বগুড়াকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে, একই সঙ্গে রঙ করা এবং সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য মেরামতও করে। আবারও ক্রিকেট ফেরায় এই অঞ্চলের মানুষ আনন্দে উদ্বেলিত।