ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত আটজন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। সাম্প্রতিক এই হামলায় কিয়েভে অবস্থিত আজারবাইজান দূতাবাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাশিয়া প্রায় ৪৩০টি ড্রোন এবং ১৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে সমন্বিতভাবে ইউক্রেনের ওপর হামলা চালিয়েছে। এসবের মধ্যে ব্যালিস্টিক ও অ্যারোব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ছিল। রাজধানী কিয়েভসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবাসিক ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ কিয়েভে আজারবাইজান দূতাবাস কমপ্লেক্সেও আঘাত হানে বলে জানা গেছে।
জেলেনস্কির দফতর জানায়, সুমি অঞ্চলে রাশিয়ার দাগানো একটি জিরকন ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা হয়েছে। হামলার পর ঘটনাস্থলে জরুরি পরিষেবার কর্মীরা উদ্ধার ও অগ্নিনির্বাপণ কাজ চালাচ্ছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহর ক্লিমেঙ্কো এবং বিমানবাহিনীর কমান্ডার আনাতোলি ক্রিভোনোজকো পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট অবহিত করেন।
জেলেনস্কি আবারও ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি অতিরিক্ত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ইন্টারসেপ্টর ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানান। তার মতে, রাশিয়ার এই ‘জীবনবিধ্বংসী’ হামলা ঠেকাতে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞাও আরও জোরদার করতে হবে।
এদিকে রাশিয়া দাবি করেছে, রাতভর ইউক্রেনের ছোড়া ২১৬টি ড্রোন তারা ভূপাতিত করেছে। কৃষ্ণসাগর ও একাধিক অঞ্চলে এসব ড্রোন নামানো হয় বলে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়। ড্রোন হামলার পর নভোরোসিস্ক শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্র: আনাদোলু