চীন ও জাপানের মাঝে কূটনৈতিক উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। তাইওয়ান নিয়ে জাপানি প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যের পর নাগরিকদের জাপান সফর এড়াতে বলেছে চীন। এবার চীনে থাকা জাপানিদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলেছে জাপান।
বেইজিংয়ে জাপানের দূতাবাস তাদের ওয়েবসাইটে নাগরিকদের প্রতি মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দেওয়া এক বার্তায় বলেছে, ‘বাইরে যাওয়ার সময় সন্দেহজনক ব্যক্তিদের প্রতি সতর্ক থাকুন। যতটা সম্ভব নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের চেষ্টা করুন। সম্ভব হলে দলবদ্ধভাবে চলাফেরা করুন।’
জাপানি নাগরিকদের ভিড়ের মাঝে এবং যেখানে লোক বেশি থাকে—তেমন এলাকা এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। দূতাবাস জানিয়েছে, যাদের সঙ্গে শিশু আছে তারা ‘বিশেষ সতর্কতা’ অবলম্বন করুন। যদি কোনো ব্যক্তি বা দলকে সামান্যও সন্দেহজনক মনে হয়, তাদের কাছাকাছি যাবেন না এবং দ্রুত সেই স্থান ত্যাগ করুন।’
চীনে থাকা নাগরিকদের কেউ যদি খুব বেশি অস্বস্তি বোধ করেন, তবে যেন দ্রুত তারা বেইজিংয়ের দূতাবাসে যোগাযোগ করেন—সেই অনুরোধ জানিয়েছে জাপান।
চীন তাইওয়ান আক্রমণ করলে জাপান তার আত্মরক্ষামূলক বাহিনী দিয়েও প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, তাকাইচির এমন ইঙ্গিতের পর গত কয়েকদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে কথার লড়াই তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে অপরের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদও পাঠিয়েছে। চীনা এক দূত কড়া ভাষায় এমন মন্তব্য করেছেন, যাতে তাকাইচির মাথা কেটে নেওয়ার হুমকি আছে বলেও অনেকে মনে করছেন। চীনের অভিযোগ, জাপান তাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করছে এবং তারা মন্তব্যটি প্রত্যাহারের দাবি জানায়। তবে টোকিওর পক্ষ মন্তব্য প্রত্যাহারের অস্বীকার করা হয়।