অভিনয় শিল্পীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদ জানিয়ে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, শিল্পীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি বন্ধ হোক। শিল্পের অগ্রগতির জন্য শিল্পীদের নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
রোববার (১৬ নভেম্বর) অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও তার ১৯ বছর বয়সি ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন। মেহজাবীন জানিয়েছেন, এক অজানা ব্যক্তি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে আমার ও আমার ১৯ বছর বয়সি ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গত ৯ মাসে আমি এই মামলার কোনো তথ্য পাইনি। কারণ, অভিযোগকারী পুলিশকে আমার সঠিক ফোন নম্বর, সঠিক ঠিকানা বা কোনো যাচাইকৃত তথ্য দিতে পারেননি। আমার সঙ্গে ব্যবসা করছিলেন, এমন প্রমাণও দিতে পারেননি। তিনি আমাকে ২৭ লাখ টাকা দিয়েছেন তার কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।
এ ঘটনায় ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে ধারণা তৈরি হয়েছে, মামলাটি তাকে হয়রানির উদ্দেশ্যেই করা হয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ-উর-রহমানের আদালতে ডিপজলের ভক্ত হিসেবে পরিচয় দেওয়া এক নারীর স্বামী তার বিরুদ্ধে একটি ‘হত্যাচেষ্টা মামলা’ করেছেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ডিপজলের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে তার সহকারী ফয়সালকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ডিপজল ও ফয়সালের বিরুদ্ধে মারধর করে অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে গত ৮ জুলাই ৩৫ বছর বয়সি ওই নারী মামলা করেন। আদালত মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দেন।
ডিপজলের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভিত্তিহীন অভিযোগে শুধু হয়রানির জন্য একই ভক্তের পরিবার এসব মামলা করেছে। অথচ ভক্ত যেসব ঘটনার অভিযোগ করেছেন, ওই সময়ে তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে ছিলেন। এখনো তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি ডায়বেটিস, হৃদরোগ, চোখের সমস্যাসহ শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাকে দীর্ঘ সময় চিকিৎসাধীন থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। এ কারণে চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে থাকতে হচ্ছে। এই অবস্থায় তাকে হয়রানি ও মানসিক ক্ষতি করার জন্য ওই ভক্ত একের পর এক মামলা করছে, যা তাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। একজন শিল্পীর বিরুদ্ধে এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা পুরো শিল্পী সমাজের জন্য ভয়, আতঙ্ক ও মানহানিকর। ডিপজলের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আমরা অনুরোধ করব, শুধু ডিপজল নয়, যে কোনো শিল্পীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগে হয়রানিমূলক মামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়।