শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ১১:০২ পূর্বাহ্ন

গাজার গণহত্যায় ইসরাইলকে জ্বালানি দিয়েছে ২৫ দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১১ প্রদর্শন করেছেন

গাজায় দুই বছরের গণহত্যায় ইসরাইলকে জ্বালানি সরবরাহ করেছে ২৫ দেশ। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জীবাশ্ম জ্বালনিবিষয়ক বেসরকারি গবেষণা সংস্থা অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য সামনে এসেছে। আজারবাইজান, কাজাখস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র গাজায় নৃশংসতা চালানোর সময় ইসরাইলে বিপুল তেল সরবরাহ করেছে। ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (১৩ নভেম্বর) প্রকাশিত ‘বিহাইন্ড দ্য ব্যারেল’ শীর্ষক সম্মেলনেও এ নিয়ে আলোচনা হয়। জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ মোট ৩২৩টি চালানে ২ কোটি ১২ লাখ মেট্রিক টন অপরিশোধিত ও পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্য ইসরাইলে পাঠিয়েছে। এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অপরিশোধিত তেল সরবরাহে সবচেয়ে বড় দুই উৎস ছিল দুই মুসলিম রাষ্ট্রের আজারবাইজান ও কাজাখস্তান। মোট সরবরাহের ৭০ শতাংশই এসেছে এ দুই দেশ থেকে। আর রাশিয়া, গ্রিস ও যুক্তরাষ্ট্র ছিল পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম সরবরাহে শীর্ষে।

অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের দাবি, ‘জলবায়ু সংকট সৃষ্টিকারী একই জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক সংঘাতকে উসকে দিচ্ছে, এমনকি গণহত্যাকেও সম্ভব করছে।’ জানা গেছে, ইসরাইলে ৬১টি চালানে ৭১ লাখ ৪৬ হাজার ৪১৭ টন অপরিশোধিত তেল পাঠিয়েছে তুরস্ক। এরপর রাশিয়া ৫৫ চালানে ৫৩ লাখ ৬২ হাজার ২৫১ টন তেল পাঠিয়েছে। এছাড়াও মোট ১৭টি দেশ ইসরাইলে ১৫২টি চালানে প্রায় ৩৩ লাখ টন পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ করেছে।

এ সময়ে সরবরাহকৃত জ্বালানির ৪৫ শতাংশই এসেছে রাশিয়া থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের নামও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, কারণ জেপি৮ নামের সামরিক বিমানের জন্য বিশেষ জ্বালানি একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকেই আসে। দেশটি ৯টি চালানে মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার টন জেপি৮ পাঠিয়েছে।

অয়েল চেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের শাদি খলিল বলেন, ‘গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তিদানের বিষয়ে রাষ্ট্রগুলোর আন্তর্জাতিক আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। তারা যদি ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা দিয়ে যায়, তাহলে গণহত্যায় জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।’

এএফপির এক প্রশ্নের জবাবে গ্লোবাল এনার্জি এমবার্গো ফর প্যালেস্টাইনের সমন্বয়ক আনা সানচেজ মেরা বলেন, ‘বেসামরিক বা সামরিক কোন খাতে তেল যাচ্ছে, এ পার্থক্য করার সুযোগ নেই। এটি পুরোপুরি একটি সাম্রাজ্যবাদী দখল ব্যবস্থার অংশ।’

২০২৪ সালের আগস্টে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ঘোষণা দেন- দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলের কাছে কয়লা রপ্তানি বন্ধ করেছে। আর সরকারি তথ্য বলছে, ব্রাজিল সর্বশেষ ২০২৪ সালের মার্চে সরাসরি ইসরাইলে তেল পাঠায়। তবে রিও ডি জেনেইরোর অয়েল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের প্রধান দাবি করেন- ব্রাজিল হয়তো ইতালির মাধ্যমে পরোক্ষভাবে ইসরাইলে তেল পাঠিয়ে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ