সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন

বগুড়ায় চতুর্থবারের মতো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৩৯ প্রদর্শন করেছেন

বিনোদন ডেস্ক : নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে চতুর্থবারের মতো আয়োজিত হলো বগুড়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। দেশ-বিদেশের চলচ্চিত্র আর চলচ্চিত্রকর্মীদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয় এই উৎসব। ছোট-বড় সব দর্শকের জন্য নতুন এক মাত্রা যুক্ত হয় বগুড়ায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলচ্চিত্রপ্রেমিরা ভিড় জমায় উৎসব অঙ্গনে। উৎসব পরিচালক সুপিন বর্মন বলেন গত বছরের চেয়ে এইবারের আয়োজন ব্যতিক্রম এবং বর্নিল।

ভারত, নেপাল, ইতালি আর বাংলাদেশের ৩০ জন চলচ্চিত্র নির্মাতা, চলচ্চিত্রকর্মীদের উপস্থিতি আমাদের উৎসবকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করেছে। উৎসব চেয়ারম্যান এম রহমান সাগরের সভাপতিত্বে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার ও পুণ্ড্রনগর সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া-৬ আসনের মাননীয় সাংসদ রাগেবুল আহসান রিপু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কালচারাল অফিসার মো. শাহাদৎ হোসেন, বাচিক শিল্পী সুলতানা পারভীন শ্রাবণী, জুরি সদস্য কেপি পাঠক (নেপাল),  ধার্মেন্দার ডাঙ্গী (ভারত), আশরাফ শিশির (বাংলাদেশ), ড. আবীদ (ভারত),  সাদিয়া খালিদ রীতি (বাংলাদেশ), প্রফেসর মোহাম্মদ ফরিয়াদ (ভারত), ফেস্টিভাল ওয়ার্কশপ ট্রেইনার অরুণ দেও জোসি (নেপাল), ফেস্টিভাল কিউরেটর শান্তনু গাঙ্গুলি (ভারত), অঙ্কিত বাগচী (ভারত), ফেস্টিভাল মাস্টারক্লাস ট্রেইনার খন্দকার সুমন (বাংলাদেশ)। আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে প্রথমবারের মতো পুণ্ড্রনগর সম্মাননা প্রদান করা হয় কবি ও প্রাবন্ধিক বজলুল করিম বাহার এবং নাট্যকার, নির্দেশক ও সংগঠক তৌফিক হাসান ময়নাকে।

সেই সাথে দেওয়া হয় শ্রেষ্ঠ চারটি চলচ্চিত্রের পুরস্কার। ন্যাশনাল ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয় শায়লা রহমান তিথীর ‘জয় বাংলা’, ইন্টান্যাশনাল শর্ট ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র মিসরের মারওয়া এইয়ের ‘ডেয়ার ওয়াড’, ডকুমেন্টরি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ হয় ভারতের রাকেশ আন্দানিয়ার চলচ্চিত্র ‘সেভিং দ্য হিমালয়ান ইয়াক’ এবং পূর্ণদৈর্ঘ্য ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হয় ভারত থেকে শিভারুদ্ধ কের চলচ্চিত্র ‘সিগন্যালম্যান ১৯৭১’। পুণ্ড্রনগর চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি পৌষরাম সরকার সকল আমন্ত্রিত অতিথিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান। পুরস্কার প্রদানের পর উপস্থিত সকল নির্মাতার হাতে দেওয়া হয় উৎসব স্মারক ও উত্তরীয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অলক পাল।

উচ্ছ্বসিত দর্শক রাত ৯টা পর্যন্ত  উপভোগ করেন শেষ দিনের নির্ধারিত চলচ্চিত্র। একই সাথে উৎসবের দ্বিতীয় ভেন্যু পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে প্রদর্শিত আটটি চলচ্চিত্র। মাস্টারক্লাস ও কর্মশালা পরিচালনা করেন নির্মাতা খন্দকার সুমন ও অরুণ দেও জোসি।

এবারের উৎসবে ১৮ দেশের মোট ৪৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য, প্রামাণ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হলো। উৎসবের অংশ হিসেবে ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শন করা হয় উৎসবে পুরস্কারপ্রাপ্ত চারটি চলচ্চিত্র এবং সুপিন বর্মন নির্মিত চলচ্চিত্র ‘সুখের সংসার’ ও ‘আ লেটার অব পোস্টমাস্টার’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ