অনলাইন ডেস্ক : বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনের বাসভবনে টিউলিপ ফুল ফুটেছে। ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দর্শনার্থী আসছেন টিউলিপ ফুলের বাগানে। জেলা প্রশাসক বাগানটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত রেখেছেন বলে জানা যায়।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে টিউলিপ চাষ করা হলো বান্দরবান। এটি সফল হলে সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসবে টিউলিপ চাষে। যে কেউ বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করে অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারবেন। এতে করে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এই ফুল বাগানে ৬ রঙের টিউলিপ ফুল ফুটেছে বলে জানান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, কুয়াশা পড়লে ফুলের জন্য ক্ষতি। এজন্য টিউলিপ বাগানে সানশেড দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ মোজাহেরুল হক বলেন, গত ১০ জানুয়ারি ৫০০ বীজ লাগানো হয় ৫-৬ দিনের মাথায় (১৫-১৬ জানুয়ারি) চারা গজিয়ে এক মাসের মধ্যে পরিপূর্ণ ফুল হয়ে ফুটেছে। গাজিপুর থেকে বীজ সংগ্রহ করা হয়েছিল। মোজাহেরুল হক বলেন, এই টিউলিপ নেদারল্যান্ডস থেকে গাজীপুরে আনা হয়েছিল বলে তিনি জানতে পারেন। বর্তমান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন গাজীপুর থেকে বীজ সংগ্রহ করে বান্দরবানে এনে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে অল্প জায়গায় এই টিউলিপ ফুলের বাগান করেছেন।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ নাজিব কুমার তঞ্চঙ্গ্যা জানান, টিউলিপ ফুল সর্বত্র পাওয়া যায় না। এইফুল আসলে দুর্লভ। সারা বিশ্বে টিউলিপের অনেক উন্নত জাত থাকলেও মূলত টিউলিপের তিনটি শ্রেণি রয়েছে। প্রারম্ভিক ফুল আসা টিউলিপ, মাঝামাঝি ফুল আসা টিউলিপ, দেরীতে ফুল আসা টিউলিপ। টিউলিপ সম্পূর্ণ রোদে বা আংশিক ছায়ায় চাষ করা যায় জনিয়ে নাজিব কুমার বলেন, টিউলিপ তুষারপাতের ক্ষেত্রে যেমন খুব সংবেদন শীল তেমনি গরম জলবায়ুতেও টিউলিপ বাড়ানো একটু কঠিন। বান্দরবান জেলায় কোনো কৃষক বাণিজ্যিকভাবে টিউলিপ চাষ করলে বিএডিসি থেকে সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।