অনলাইন ডেস্ক : মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা সংরক্ষিত বন থেকে কয়েক লাখ টাকা দামের প্রায় ১৫টি সেগুন গাছ চুরি করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া আরও ৩০টিরও বেশি গাছের গোঁড়ায় রিং করে কেটে রাখা হয়েছে পরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সম্প্রতি বনের কমলছড়া, গলাচিপা ও দশের টিলা নামক স্থানে এ চিত্র দেখা গেছে। তবে এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বন বিভাগ।
জানা যায়, সিলেট বন বিভাগের জুড়ী রেঞ্জের আওতাধীন লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের গাছ নিধন করতে নতুন ‘রিং’ কৌশল বেঁছে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুরুতে চোররা নির্দিষ্ট গাছের গোঁড়ায় রিং করে কেটে রাখে। ফলে ধীরে ধীরে গাছটি শুকিয়ে মারা যায়। এরপর সেটি কেটে নেওয়া হয়। এভাবে সম্প্রতি লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের ভেতর থেকে প্রায় ১৫টি বড় আকারের সেগুন গাছ কেটে চুরি করে নিয়ে গেছে একটি চক্র।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বনের লালছড়া ও জরিছড়া ফাঁড়ি এলাকার গলাচিপা ও দশের টিলা নামক স্থানের কয়েকটি টিলা ভূমিতে ছোট বড় প্রায় ৩০টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছের গোঁড়ায় রিং করে কেটে রাখা হয়েছে। আর আশপাশ থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া গাছের গুড়ি কৌশলে কাদা মাটি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। কয়েকটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ও মাটি থেকে উপড়ে ফেলা হয়েছে।
লাঠিটিলা বনবিট কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, যে স্থান থেকে গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে, সেটা আমার অফিস থেকে ৫/৭ মিনিটের দূরত্বে। রেঞ্জার স্যারসহ জায়গাটি পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে ওই এলাকার মানুষের সঙ্গে আলাপও হয়েছে। তবে মাস পেরিয়ে গেলেও কেন কোনো আইনি ব্যবস্থা নেননি এমন প্রশ্নে তিনি কোন সদুত্তর না দিয়ে উল্টো এসব নিয়ে প্রতিবেদন করলে মামলার ভয় দেখান।
জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন বলেন, ওই এলাকা পরিদর্শন করে সেখানে কেটে নেওয়া কিছু গাছের গুড়ি ও নতুন করে কয়েকটি গাছের গোঁড়ায় রিং করে কাটা অবস্থায় পাই। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। একইভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবিরও।