অনলাইন ডেস্ক : মাদারীপুরে সময় মতো অক্সিজেন না দেওয়ায় এক পান বিক্রেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রোববার জেলা সদর হাসপাতালে এ ঘটনায় নিহতের নাম শ্যামল দাস । তিনি মাদারীপুর পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের আমিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা।
জানা গেছে, মেরুদণ্ডের ব্যথা নিয়ে রোববার বিকাল ৫টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে যান শ্যামল দাস। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রিয়াদ মাহমুদ ব্যবস্থাপত্র দিয়ে রোগীকে ভর্তি হতে বলেন। ভর্তির পর ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী রোগীকে ব্যথার ইনজেকশন দেন কর্তব্যরত নার্স। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট ও দাপাদাপি। অক্সিজেনের অভাবে ব্যথায় ছটফট করতে থাকেন শ্যামল। এ অবস্থায় রোগীকে অক্সিজেন দিতে নার্সকে অনুরোধ করা হলেও তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে অন্য কাজে মনোযোগ দেন। এরপর রাত ৮টার দিকে মৃত্যু হয় ঐ ব্যবসায়ীর। স্বজনদের অভিযোগ, সময় মতো অক্সিজেন না দেওয়ার কারণেই মারা যান শ্যামল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন অবহেলায় ক্ষুব্ধ তারা। নিহতের ফুফাতো ভাই বলেন, আমার ভাইয়ের ১১ বছরের এক ছেলে ও ১৪ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। তার সংসারটা এখন কীভাবে চলবে? এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নার্সের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
যদিও চিকিৎসক ডা. রিয়াদ মাহমুদের দাবি, সঠিকভাবেই ভবনের নিচতলার জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয় শ্যামল দাসকে। কিন্তু পরবর্তীতে ভবনের ছয়তলায় কী হয়েছে, সেটা জানেন না তিনি। মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ও জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনীর আহম্মেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। সবকিছু পর্যালোচনা করে নার্সের অবহেলা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি এএইচএম সালাউদ্দিন জানান, হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হচ্ছে, এমন খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।