যাত্রা শুরুর মাত্র দুই বছর পর থেকেই ‘কাঁচখেলা রেপার্টরি থিয়েটার’ সম্পৃক্ত অভিনেত্রীদের সম্মাননা দিয়ে আসছে। নাট্যদলটির প্রতিষ্ঠাতা অভিনেতা সায়েম সামাদের উদ্যোগেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এই সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতা এবারও রক্ষা করছে দলটি। এবার মঞ্চের দাপুটে অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী, নাটক ও সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোজী সেলিম, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ও নির্দেশক নাজনীন হাসান চুমকি এবং গুণী অভিনেত্রী তনিমা হামিদ, জুয়েনা শবনম, শামসি আরা সায়েকা, হাসিনা সাফিনা বানু উর্মি ও সৈয়দা নওশীন ইসলাম দিশা কাঁচখেলা নাট্য সম্মাননায় ভূষিত হতে যাচ্ছেন। সায়েম সামাদ বলেন, ‘সকল ক্ষেত্রে নারীর অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের মঞ্চনাটকে নারীর মেধা ও শ্রমের মূল্যায়ন যথাযথভাবে হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। পুরুষ সহকর্মীর তুলনায় নারীকে থিয়েটারে সম্পৃক্ত হতে সাধনা চালিয়ে যেতে অনেক বেশি প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়তে হয়। নারীর মঞ্চ সাধনাকে মূল্যায়িত করতে প্রতিবছর এই আয়োজন করছি। সবার সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু উপহার দেওয়ার ইচ্ছে আছে। আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই প্রত্যেক নারী শিল্পীকে—যারা এই সম্মাননা গ্রহণ করার জন্য সম্মতি দিয়েছেন। কারণ তাদের কারণেই আলোকিত হবে এই অনুষ্ঠান।’ অভিনেত্রী রোজী সেলিম সম্মাননা নিয়ে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘প্রতিবছর মঞ্চনাটকের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর মেধার মূল্যায়নে কাঁচখেলা রেপার্টরি থিয়েটার এই সম্মাননা প্রদান করছে। আমি মনে করি, নারীর মেধার মূল্যায়নের মাধ্যমে মঞ্চনাটক নারীর অংশগ্রহণে আরো সমৃদ্ধ হবে।’ নাজনীন হাসান চুমকি বলেন, ‘মঞ্চনাটকে নারীর অবদানকে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে কাঁচখেলা রেপার্টরি থিয়েটার অনন্য সামাজিক ভূমিকা রেখেছে।’ উল্লেখ্য, আগামী ৮ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মহিলা সমিতি মিলনায়তনে উত্সবের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী নারী শিল্পীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেবেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তারানা হালিম। অন্যদিকে অনুষ্ঠানে ৩ দিনব্যাপী নাট্যোত্সবের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী ডলি জহুর। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় মহিলা সমিতি মিলনায়তনে থাকছে মঞ্চনাটকের প্রদর্শনী। এতে ৮ মার্চ মঞ্চস্থ হবে থিয়েটার ফ্যাক্টরির নাটক ‘আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে’, ৯ মার্চ প্রাচ্যনাটের ‘আগুনযাত্রা’ এবং ১০ মার্চ অনুস্বরের ‘হার্মাসিস ক্লিওপেট্রা’।