শুল্ক ফাঁকি দিয়ে সীমান্তের ওপার থেকে নিয়ে আসা মজুতকৃত কয়লা ও ইঞ্জিনচালিত ট্রলার জব্দ করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের কামালপুর গ্রামের আব্দুল মন্নানের ছেলে আলীনুরের বাড়িতে মজুতকৃত চোরাচালানের কয়লা ও ট্রলার জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল যুগান্তরকে জানায়, কয়লা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকায় কামালপুর গ্রামের আব্দুল মন্নান ওরফে মন্নারের ছেলে আলীনুর, তার সহযোগী পার্শ্ববর্তী তরং মাইজহাটি গ্রামের মৃত ফরমুজ আলী ওরফে হরমুজের ছেলে এ্যাংরাজুল, তার ছেলে পলক সাবুল বাবুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় উপজেলার লালঘাট সীমান্ত গ্রামের জফুর আলীর ছেলে সাবুল মিয়া, সীমান্ত গ্রাম বড়ছড়া জাহের আলীর ছেলে শুক্কুর আলীসহ ৪-৫ জন কয়লা চোরাকারবারি হাওড়ের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে কৌশলে পালিয়ে যায়।
মঙ্গলবার বিকালে থানা পুলিশ ও কামালপুর গ্রামের একাধিক ব্যক্তি জানান, গত কয়েক দিন ধরে গভীর রাতে সীমান্তের ওপার থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ছোট ছোট নৌকায় কয়লা এনে আলীনূরের বাড়িসহ হাওড় তীরের আরও কয়েকটি গ্রামে মজুত করতে থাকে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারিরা। সোমবার মধ্যরাতের পর ২৫-৩০ জন শ্রমিক বসতবাড়িতে থাকা চোরাচালানের মজুতকৃত কয়লা অন্যত্র বিক্রির জন্য ট্রলারবোঝাই করতে থাকে। গ্রামবাসী খবর দিলে মঙ্গলবার সকালে থানার টেকেরঘাট অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের একটি টিম পৌঁছলে ডাম্পিং অনুমোদন, এলসির বৈধ কাগজপত্র, মিনিপাস, কোনো ধরনের চালানপত্র দেখাতে না পারায় ট্রলারসহ ২৮ মেট্রিক টন কয়লা জব্দ করে।
তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, গ্রেফতার তিন কয়লা চোরাকারবারি এবং পলাতক দুইজনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪-৫ জন চোরাকারবারি চক্রের সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।