মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের এক প্রবাসীর খরিদা জায়গার ওপর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিকার চেয়ে কাতার প্রবাসী তাহির আলী বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগসহ আদালতে মামলা দায়ের করেন। এজন্য ৬ পরিবারকে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে নাক কেটে দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ভূকশিমইল ইউনিয়নের মহেষগৌরি গ্রামের বাসিন্দা ও কাতার প্রবাসী তাহির আলীর বাড়ির সামনে দিয়ে সরকারি একটি গোপাট (খাল) রয়েছে। পরবর্তীতে এই গোপাটটি রাস্তায় পরিণত হয়। ওই সময় একই গ্রামের নামর আলী ও তার সহযোগীসহ স্থানীয় কিছু কুচক্রীমহলের যোগসাজশে সরকারি গোপাট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ না করে কাতার প্রবাসীর জমির উপর দিয়ে রাস্তাটি করা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে প্রবাস থেকে তাহির আলী আপত্তি জানালেও তারা কোনো কর্ণপাত করেনি। উল্টো সালিশ বৈঠক করে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে তাহির আলী ও তার ভাইদের ৬ পরিবারকে পঞ্চায়েতে একঘরে করে রাখা হয়।
এ নিয়ে শনিবার আয়োজিত এক মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা জানান, ২০০৬ সালে কোরবানপুর মৌজায় এসএ ৫৯৭৭ দাগে ৩ শতক ৩৬ শতাংশ জমি জয়চন্ডী ইউনিয়নের আবুতালিপুর গ্রামের মো. দেওয়ান খাঁর কাছ থেকে ক্রয় করে একটি টিনশেডের ঘর নির্মাণ করেন তাহির আলী। কিন্তু একই এলাকার নামর আলী, রকিব আলী খান, আজাদ মিয়া, তাজুল ইসলাম ও জয়নাল মিয়া এই জমিটি জবরদখল করতে বিভিন্ন সময় অপচেষ্টা চালায়। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবরে নামর আলী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আদালতে ও কুলাউড়া থানায় পৃথক মামলা করেন প্রবাসী তাহির আলী। আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও তাদের বাধা আপত্তিকে উপেক্ষা করে টিনশেডের ঘর ভেঙে রাস্তাটি সম্প্রসারণ করে ইট বসানো হয়।
প্রবাসী তাহির আলী বলেন, ওই ভূমির পূর্ব পাশের সরকারি গোপাট (খাল) রয়েছে। অথচ সেই জায়গাটুকু নামর আলী ও তায় সহযোগীরা জবরদখলে রেখেছে। আমাদের খরিদকৃত জমি উদ্ধারপূর্বক সরকারি জায়গা চিহ্নিত করে রাস্তা করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
মহেষগৌরি পঞ্চায়েত কমিটির সেক্রেটারি মো. আতিক জানান, জমি ও রাস্তা নিয়ে জটিলতা থাকায় তাহির আলী ও তার সহযোগীদের একাধিকবার ডাকলেও তারা পঞ্চায়েতের ডাকে উপস্থিত হয়নি। নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু তারা না আসায় পঞ্চায়েতের লোকজন তাদের পঞ্চায়েত থেকে বাদ (একঘরে) করে রাখে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ জহুরুল হোসেন জানান, হাকালুকি হাওড়ে যাতায়াতের রাস্তায় তাহির আলী ও তার সহযোগীরা অবৈধভাবে টিনের ঘর তৈরি করায় জনস্বার্থে আমরা সেই ঘরটি উচ্ছেদ করে রাস্তাটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি।