প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের আগেই ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেয়ার পর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে। এ ছাড়া আগামী বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট আসার আগেই ভোটার তালিকা চূড়ান্তকরণ, সীমানা পুননির্ধারণে কাজ শুরু হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে ভুয়া ভোটার, নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি ও সীমানা পুননির্ধারণ নিয়ে জটিলতা নিরসন করা কঠিন হবে। একই সঙ্গে দল নিবন্ধনের জন্য যাচাই-বাছাইকেও চ্যালেঞ্জ হবে।
নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, কারও বয়স ১৮ বছর হলো কিন্তু কোনো ফয়সালা করলাম না, ভুয়া ভোটারের কোনো তালিকা করলাম না, তাহলে ভোটার তালিকা তৈরি করা খুব সহজ। মৃত ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাক এটি সবাই চাচ্ছে। তাই ভোটার তালিকা তৈরি করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ভোটের আগেই ব্যাপক রদবদল হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ডিসি-এসপি নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে, কেননা তাদের ওপর এখন চাপ নেই। আগে ওপর থেকে বিশাল একটা চাপ ছিল তাদের। তোমরা এমনভাবে নির্বাচন করবে যেন আমার দল জিতে। কিন্তু এখন তেমন পরিস্থিতি নেই। এখন তারা মুক্তভাবে কাজ করতে পারছে। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে যত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তার সবই নেওয়া হবে।