আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের প্রথমাংশের জাতীয় নির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনে কার্যনির্বাহী পরিষদের ২১ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
ভোট গণনা শেষে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত ২টা ৩০ মিনিটে নির্বাচন কমিশনার, সাবেক জেলা জজ আখতারুল আলম লাইভে ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন।
এর আগে ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর দুইদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশ ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এবি পার্টির কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে ৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে ২১ জনকে নির্বাচিত করেন ভোটাররা।
এবি পার্টি প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল জানান, কেন্দ্রীয় কমিটির ৩১৫ সদস্যের সরাসরি ভোটে নির্বাহী কমিটির ২১ জন সদস্য নির্বাচিত হন। যেখানে প্রার্থী সংখ্যা ছিল মোট ৬০ জন। গভীর রাত হলেও বিজয় নগরে এবি পার্টির কার্যালয় ছিল সরগরম ও উৎসব মুখর। নির্বাচন কমিশনার একে একে ৬০ জন প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট এবং বিজয়ী ২১ জনের নাম ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, মোট ভোটার ছিলেন ৩১৫ জন এবং ভোটের হার ছিল প্রায় ৯৮ শতাংশ। ভোট প্রদানে ভুল করার কারণে ৬টি ভোট বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সেবা ও সমস্যা সমাধানের রাজনৈতিক অঙ্গীকার নিয়ে ২০২০ সালের ২মে আত্মপ্রকাশ করে। সব শর্তপূরণ করার পরও বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এবি পার্টিকে নিবন্ধন না দিলেও স্বৈরাচার পতনের পর আদালতের রায়ের মাধ্যমে নিবন্ধন পায় এবি পার্টি।
নিবন্ধনের পর প্রথম কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আগামী ১০ ও ১১ জানুয়ারি দলটির ১ম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। ১০ জানুয়ারি সারা দেশের প্রায় ২ হাজার কাউন্সিলরের প্রত্যক্ষ ভোটে এবি পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই অংশ হিসেবে আজ জাতীয় নির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। আগামী ১১ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে দলের সাধারণ সম্পাদকও নির্ধারিত হবে।
জাতীয় নির্বাহী পরিষদের নির্বাচিত ২১ সদস্যরা হলেন-
মজিবুর রহমান মঞ্জু, ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আবদুল ওহাব মিনার, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুন রানা, ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক, ব্যারিস্টার নাসরিন সুলতানা মিলি, আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবিএম খালিদ হাসান, আমিনুল ইসলাম এফসিএ, শাহাদাতুল্লাহ টুটুল, মো. আলতাফ হোসাইন, লে. কর্নেল মো. দিদারুল আলম (অব.), আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কাসেম, ব্যারিস্টার খান আজম, ব্যারিস্টার আব্বাস ইসলাম খান, বিএম নাজমুল হক, ইঞ্জিনিয়ার মো. লোকমান, অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, মো. আবদুল বাছেত মারজান, লে. কর্নেল হেলাল উদ্দিন আহমেদ (অব.)।
ফলাফল ঘোষণার সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীরা এবং তাদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।