ইসরাইলি বাহিনীর হাতে আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলম আটকের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার (৮ অক্টোবর) সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদ প্রেরিত এক বার্তায় এই উদ্বেগ জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে নারী-শিশুসহ হাজারো মানুষকে হত্যা করছে। সর্বশেষ দুই বছরে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৭ হাজার ছাড়িয়েছে। অবরুদ্ধ গাজাবাসী খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। সম্প্রতি মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে ইসরাইলি অবরোধ ভেঙে গাজামুখী যাত্রা করে ফ্রিডম ফ্লোটিলা। এতে অংশ নেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলম। ধ্বংসস্তূপ গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর এই উদ্যোগে তার অংশগ্রহণ নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি গভীর সংহতির প্রতীক, যা বাংলাদেশের জনগণের ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থানেরও বহিঃপ্রকাশ।
এতে আরও বলা হয়, কিন্তু এই মানবিক সহায়তায় অংশ নিতে গিয়ে তার আটক হওয়া গভীর শঙ্কা ও উদ্বেগের। অথচ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর কার্যক্রমে কোনো বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। অতএব, ইসরাইলি বাহিনীর এই নৌবহর আটক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বার্তায় আরও বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং আটক সব সাংবাদিক, চিকিৎসক ও মানবাধিকারকর্মীর নিরাপদ মুক্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিও বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও লেখক শহিদুল আলমের দ্রুত মুক্তি এবং নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলমান দখলদার ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সংগত আজাদি আন্দোলনের প্রতি গভীর সংহতি ও একাত্মতা প্রকাশ করছে বলেও জানায়।