ছুটির দিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপে শুক্রবার সকাল থেকেই মহাসড়কের সোনারগাঁয়ের চৈত্রী গার্মেন্ট এলাকা থেকে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকায় এই যানজট দেখা দিয়েছে। এর ফলে এই পথ পাড়ি দিতে দেড় ঘন্টারও বেশি সময় লেগে যাচ্ছে যাত্রীদের। শুক্রবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সরেজমিনে গিয়ে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, যানবাহনের অতিরিক্ত চাপে টোলপ্লাজায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন কাজে বের হওয়া যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ সড়কে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এক যাত্রী বলেন, বন্ধুদের নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছি কিন্তু যানজটের কারণে এখনো মোঘরাপাড়ায় আটকে আছি। অন্যান্য দিনেও এখানে এতো যানজট থাকে না যতোটা ছুটির দিনে লক্ষ্য করা গেছে। আরেক যাত্রী বলেন, বরযাত্রী নিয়ে শিমরাইল থেকে কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। শিমরাইল থেকে চৈত্রী পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দে আসতে পারলেও তীব্র যানজটের কারণে এখান থেকে আর সামনে যাওয়া সম্ভবই হচ্ছে না। কখন নাগাদ যে এই অংশ পার হতে পারবো কিজানি। সোলায়মান হোসেন নামের এক বাসচালক বলেন, ছুটির দিনে সবসময় এমন যানজট থাকে না। আজকের যানজটের কারণে গন্তব্যস্থলে যেতে আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। আবার যানবাহনের চাপের কারণে মেঘনাঘাটে টোল আদায়ে বিলম্ব হচ্ছে। তাই এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা কিংবা অন্য কারণে নয়। যানজট নিরসনে আমরা সকাল থেকেই মহাসড়কে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি খুব শিগগিরই যানজট কমে যাবে।