গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি সেলুন থেকে এক পোশাকশ্রমিকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের মাওনা মধ্যপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আবু সাঈদ মাওনা মধ্যপাড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং এক্সিকিউটিভ গ্রিন টেক্সটাইল পোশাক কারখানার শ্রমিক ছিলেন। তিনি নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার আলমপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনার পর সেলুনের মালিক খলিলুর রহমান তাঁর দোকান থেকে পালিয়ে যান। তাঁর বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়, বাবার নাম আবদুল মজিদ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাওনা মধ্যপাড়া এলাকায় এক্সিকিউটিভ গ্রিন টেক্সটাইল পোশাক কারখানার সামনে ১৫ দিন আগে দোতলা একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় সেলুনের দোকান শুরু করেন খলিলুর রহমান। তাঁর সঙ্গে আবু সাঈদের পূর্বপরিচয় ও বন্ধুত্ব ছিল।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, গতকাল রাত ১২টার দিকে খলিলুর রহমান হন্তদন্ত হয়ে দোকান থেকে দৌড়ে বের হয়ে যান। বিষটি দেখে কয়েকজন ওই সেলুনে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, সেলুনের মেঝেতে রক্তাক্ত ও গলাকাটা অবস্থায় আবু সাঈদের মরদেহ পড়ে আছে। পাশেই একটি রক্তমাখা ছুরি ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, আবু সাঈদ ও খলিলুর রহমানের মধ্যে পূর্বপরিচয় ছিল। তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। একজন আরেকজনের বাসায় যাতায়াত করতেন। কিন্তু হঠাৎ এমন ঘটনা কেন ঘটল, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আবু সাঈদ নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর গলা অনেকটা কাটা ছিল। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।