সাংগঠনিক অদক্ষতার কারণ দেখিয়ে এবার নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে খুব শীর্ঘই ওই ইউনিয়নের নতুন কমিটি গঠন করা হবে বলেও পত্রে উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর সকালে নিজ বাড়ি থেকে টিসিবির তেল, ডাল ও চালসহ যৌথবাহিনীর কাছে আটক হন পাইকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসেম ভূঞা। পরে ওইদিনই পুলিশ বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় মামলা হলে সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এরপর গত ৪ অক্টোবর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি, আদর্শ পরিপন্থি কার্যকলাপের জন্য দলীয় পদ থেকে আবুল হাসেম ভূঞাকে অব্যাহতি দেয় উপজেলা বিএনপি।
এদিকে বিএনপি নেতা আবুল হাসেম ভূঞাকে নির্দোষ এবং তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার দাবি করে গত রবিবার মামলা প্রত্যাহার ও তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে স্থানীয় বাড়লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে ইউনিয়ন বিএনপি এবং সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সদ্য বিলুপ্ত পাইকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, টিসিবির পণ্য বিক্রির দিন বৃষ্টির কারণে ডিলার সবগুলো পণ্য বিক্রি করতে পারেননি। তাই বিএনপি নেতা হাসেম ভূঞার বাড়িতে পণ্যগুলো রেখেছিলেন। প্রতিপক্ষের লোকজন সেনাবাহিনীকে খবর দিয়ে আবুল হাসেমকে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন। ভয়ে ওই সময় ডিলারও ফোন বন্ধ করে দেয়। ফলে সহযোগিতা করতে গিয়ে উল্টো ফেঁসে গেছেন আবুল হাসেম। এটি একটি ষড়যন্ত্র বিধায় আমরা তার মুক্তি দাবি করছি।
মামলার বিষয়ে কথা হলে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, বিএনপি নেতা আবুল হাসেম ভূঞার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটির তদন্ত এখনও চলছে। তদন্ত শেষে যা সত্য, আমরা সে বিষয়েই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করব।