ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর, জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রোববার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে প্রতিবাদ পদযাত্রা ও স্মারকলিপির প্রদানের পর এবার নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির তিন সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
সব ঠিক থাকলে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে সংগঠন তিনটির নেতাকর্মীরা আগরতলা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করবেন। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ সময় জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, বুধবার নয়াপল্টন থেকে যৌথ লংমার্চ করবেন ৩টি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গন্তব্য হবে আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত।
তিনি বলেন, হাইকমিশনে সহিংস ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরবতা ভারত সরকারের মৌন সমর্থনই। কিছু মিডিয়া অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। কূটনীতিক মিশনে সহিংস হামলা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাতের শামিল।
ভারত এখন ক্রিমিনালদের আশ্রয়কেন্দ্র ও অভায়রণ্য হয়েছে মন্তব্য করে সংবাদ সম্মেলনে যুবদল সভাপতি বলেন, দেশটি ক্রমাগত ভিত্তিহীন ও কল্পনাপ্রসূত গুজব সৃষ্টি করছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হাসিনার গণহত্যার শিকার হয়েছেন অনেক সনাতন। কিন্তু তখন ভারত নীরব ছিল।
মোনায়েম মুন্না আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত করছে। তাদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করার।
তিনি বলেন, ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আগামী ১১ ডিসেম্বর ঢাকা টু আখাউড়া সীমান্ত পর্যন্ত লংমার্চ হবে। ভূখণ্ডের বিরুদ্ধে যেকোনো চক্রান্তে আমরা সোচ্চার থাকবো।
সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠেয় লং মার্চ কর্মসূচিতে বাংলাদেশের সর্বস্তরের ছাত্র, যুবক ও স্বেচ্ছাসেবী জনতাকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এর আগে, রোববার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে পদযাত্রা করে বিএনপির এই তিন সংগঠন। নয়াপল্টন থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন। পরে রামপুরায় পুলিশ অনুরোধ জানালে পদযাত্রা শেষ করে তাদের ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বারিধারার ভারতীয় হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেয়।