ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনকে ২০২১ সালের মার্চে ২ কোটি টাকা দিয়েছিল। সেই অর্থ পাওয়ার পর দাবা ফেডারেশন ন্যাশনাল ব্যাংককে আর কোনো কিছু অবহিত করেনি। তাই তিন বছর পর ন্যাশনাল ব্যাংক দাবা ফেডারেশনকে দেওয়া ২ কোটি টাকার ব্যয়ের হিসাব চেয়েছে।
ন্যাশনাল ব্যাংকের সহ-সভাপতি ও জনসংযোগ বিভাগের প্রধান খন্দকার এহতেশাম গত সপ্তাহে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলামকে দাবা ফেডারেশন সংক্রান্ত চিঠি দেন। সেই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ও দাবা ফেডারেশনের তৎকালীন সভাপতি বেনজীর আহমেদ স্বাক্ষরিত দাবা ফেডারেশনের প্যাডে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট পরিচালনা, প্রশিক্ষণ, দল বিদেশ প্রেরণ এবং দাবার সামগ্রিক উন্নয়ন ও পরিচালনা কর্মকাণ্ডের জন্য ৫ কোটি টাকা পৃষ্ঠপোষকতা চেয়েছিল।
২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর দাবা ফেডারেশনের সেই চিঠির প্রেক্ষিতে ন্যাশনাল ব্যাংক ২০২১ সালের ৩ মার্চ দাবা ফেডারেশনকে ২ কোটি টাকার চেক ইস্যু করে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামস্থ পূবালী ব্যাংকে দাবা ফেডারেশনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ন্যাশনাল ব্যাংকের ২ কোটি টাকা যোগ হয় ৯ মার্চ।
দাবা ফেডারেশন টাকা পাওয়ার পর আর ন্যাশনাল ব্যাংকের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো যোগাযোগ করেনি। তাই বাধ্য হয়ে ন্যাশনাল ব্যাংক ৩ বছর পর তাদের পৃষ্ঠপোষকতা অর্থ কোন টুর্নামেন্ট ও কোন খাতে ব্যয় হয়েছে এটা জানতে চেয়েছে। ব্যাংকের সেই চিঠি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দাবা ফেডারেশনের সভাপতিকে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্রীড়াঙ্গনে পরিবর্তন এসেছে। ১৪ নভেম্বর দাবা ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি গঠন হয়েছে। অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান সুমন ন্যাশনাল ব্যাংকের চিঠি সম্পর্কে বলেন,‘আমরা চিঠি পেয়েছি গতকাল। পরীক্ষা করে দেখছি। এই অর্থ ব্যয়ের সকল হিসাব আমরাও পরীক্ষা করে দেখব।’
দাবা ফেডারেশনের হল রুম সব সময় খেলা লেগেই থাকে। বিভিন্ন খেলায় প্রাপ্ত পৃষ্ঠপোষকদের নামেই আয়োজন করে ফেডারেশন। ন্যাশনাল ব্যাংকের নামে দাবার কোনো প্রতিযোগিতা বা কর্মকান্ড গত তিন বছরে তেমন দৃষ্টিগোচর হয়নি। স্পন্সরশীপের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রচার-প্রসারের বিষয় রয়েছে। দুই কোটি টাকা ন্যাশনাল ব্যাংক প্রদান করলেও দাবা থেকে এর বিপরীতে ব্যাংকটির নাম সেই অর্থে প্রচার হয়নি। ন্যাশনাল ব্যাংকের দাবা ফেডারেশনের দুই কোটি টাকা সম্পর্কে ফেডারেশনের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম বলেন,‘ন্যাশনাল ব্যাংক আমাদের দাবার সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য দুই কোটি টাকা দিয়েছিল। আমরা সেটা বিভিন্ন টুর্নামেন্ট, প্রশিক্ষণ ও বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে ব্যয় করেছি। এগুলোর হিসাব ফেডারেশনে রয়েছে বর্তমান কমিটি ব্যাংককে দিতে পারবে।’