দেব এক মেয়ের বাবা হলেও আপত্তি নেই জ্যোতির্ময়ীর

টালিউডের নতুন নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডু। প্রথমবারের মতো জুটি হয়েছেন সময়ের আলোচিত হিরো দেবের। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, প্রথম যখন দেবের নাম শুনেছিলেন, তখন গায়ে চিমটি কাটতে হয়েছিল। আর প্রথম যেদিন দেবদাকে দেখেছিলেন, সেদিন তিনি ভয় পেয়েছিলেন।

সামাজিক মাধ্যমে দ্বিতীয় গান প্রকাশ্যে আসতেই আহ্লাদে আটখানা বড়পর্দার নতুন নায়িকা জ্যোতির্ময়ী কুণ্ডু! প্রথম সিনেমাতেই দেবের বিপরীতে নায়িকা। শুরুতে সত্যি সত্যিই ভাবতে পারেননি। অনুভূতি প্রকাশ করার মতো নয় বলে জানান তিনি।

জ্যোতির্ময়ী বলেন, লোকে আমার মুখ দেখে বুঝতে পারে না, খুশি হয়েছি না কি দুঃখ পেয়েছি! দেবও বুঝতে পারেননি তার সঙ্গে পর্দায় রোম্যান্সের পর নায়িকার অনুভূতি কেমন? ভাষায় প্রকাশ করতে জ্যোতির্ময়ীর অবশ্য অসুবিধা নেই। তিনি বলেন, এতদিন যাকে পর্দায় দেখেছি, তার বিপরীতে অভিনয়! কিছু বোঝার আগেই দেখি— সব দৃশ্য হয়ে যাচ্ছে! ধন্যবাদ পরিচালক অভিজিৎ সেনকে।

অভিনেত্রী বলেন, প্রথম যেদিন দেখি, দেবদা তখন ওজন বাড়িয়েছেন। মুখভর্তি দাড়ি-গোঁফ। ‘রঘু ডাকাত’ সিনেমার শুটিং সম্ভবত শেষ হয়নি। দেখে একটু ভয় ভয় করছিল। তার কিছু দিন পর সিনেমার ‘লুক’। দেবকে দেখে সেদিন মনে হাজার প্রজাপতি ডানা ঝাপটে ছিল!

জ্যোতির্ময়ী বলেন,  দেখে আশ্বস্ত হলাম, এই তো আমার সেই ‘পাগলু’র দেবদা! প্রযোজক-নায়কের সৌজন্যে লন্ডনে দীর্ঘ শুটিং। কাজের ফাঁকে বেড়ানো, খাওয়াদাওয়া, কেনাকাটাও! দেবের জন্য কী কিনলেন?—এমন প্রশ্নে প্রথমে একটু থতমত খেলেন। এরপর থমকে গিয়ে উত্তরে তিনি বললেন, আরে! দেবদার সঙ্গে সারাক্ষণ থাকি নাকি? ওর কী পছন্দ কী করে জানব?

হঠাৎ করেই উচ্ছ্বসিত হয়ে অভিনেত্রী বললেন, মিঠুন চক্রবর্তী এ সিনেমায় আছেন। প্রথম সিনেমা আমায় কত কিছু দিল! কোনো দিন ভুলতে পারব না। ‘প্রজাপতি ২’-এর হাত ধরে আমার অনেক কিছু প্রথম। যেমন ভুলতে পারব না ধারাবাহিক ‘বঁধুয়া’র ‘পেখম’ চরিত্রকে। সেই ধারাবাহিকে অভিনয় করেছিলেন বলেই আজ তিনি দেবের নায়িকা।

এর পরেই হাসতে হাসতে অভিনেত্রী বলেন, পর্দায় এক মেয়ের বাবা হলেও দেবদার সঙ্গে রোম্যান্সে আপত্তি নেই। তবে বাস্তবে নয় কিন্তু। বাস্তবে দেবদাকে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করি।

আগামী দিনে যদি উল্টোটা হয়? যদি দেব তার বিপরীতে ছোটপর্দায় নায়ক হন? উত্তরে জ্যোতির্ময়ী বলেন, দেবদা ছোটপর্দায় এলে আমাদের কে ‘পাগলু’ উপহার দেবে?

তবে ছোটপর্দার নায়িকাদের বড়পর্দায় সুযোগ দেওয়ার ভাবনাকে তারিফ করে অভিনেত্রী বলেন, দেবদার মতোই সবার ভাবা উচিত। অবশ্যই প্রযোজক অতনু রায়চৌধুরীদাও আছেন। অভিনেতা-অভিনেত্রী বাছার সময় অন্তত মাধ্যম দেখা উচিত নয়। তাই আগামী দিনে জ্যোতির্ময়ী আবার ছোটপর্দায় ফিরতে রাজি।

তাহলে নায়িকার গায়ে কবে প্রজাপতি বসবে? এবার প্রাণখোলা হাসি জ্যোতির্ময়ীর। হাসতে হাসতে অভিনেত্রী বলেন, আরও ১০-১২ বছর যাক। তার পর বসতে দেব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *