মুশফিককে দেখে পেসাররাও ১০০ টেস্ট খেলতে চান

ঢাকা টেস্টে রোববার স্বাগতিকদের ২১৭ রানের জয়ের পর মিরপুরে তখন পুরস্কার বিতরণী মঞ্চ প্রস্তুত হচ্ছে। মাঠে দাঁড়িয়ে মুশফিকুর রহিম দেখলেন পাশে অনেক ক্রেস্ট। বলেই ফেললেন, ‘এত ক্রেস্ট কোথায় রাখব।’ বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ক্রিকেটার হিসাবে শততম ম্যাচ খেললেন। সেঞ্চুরির পর অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি করে হলেন ম্যাচসেরাও। এমন উপলক্ষ্য তো আর বারবার আসে না। বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসজেএ), বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও আরও কয়েকটি সংগঠন কাল ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানিয়েছে মুশফিককে। এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে দেখে এখন বাংলাদেশের পেস বোলাররাও ১০০ টেস্ট খেলার স্বপ্ন দেখছেন। মুশফিকও বাংলাদেশকে আরও কিছু দিয়ে যেতে চান।

তিনি বলেন, ‘ড্রেসিংরুমে এক পেস বোলার বলছিল যে, আমিও ১০০ টেস্ট খেলতে চাই। আমাদের মতো দেশে একজন পেসারের এমন কথা বলা অনেক সাহসের ব্যাপার।

সিরিজ শুরুর আগে থেকেই মুশফিকের মাইলফলক ম্যাচ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। প্রতিটি মুহূর্ত এই কিপার-ব্যাটার অসম্ভব উপভোগ করেছেন। তাকে সম্মাননা জানানো হয়েছে। এখনো খেলে যেতে চান ৩৮ বছর বয়সি এই পরিশ্রমী ব্যাটার। মুশফিক কাল বলেন, ‘আমি আরও খেলতে চাই। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি, ১০০টি টেস্ট খেলার সুযোগ পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। প্রতিটা সেকেন্ড উপভোগ করেছি। এমন ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেওয়াও আমার বড় সৌভাগ্য। খুব শিগগিরই আমাদের দারুণ একটা দল তৈরি হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি যখন তরুণ ছিলাম, তখন যেমন দায়িত্ব ছিল, এখন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তরুণদের পথ দেখানোও আমার দায়িত্ব। আমি নিজের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করি। আশা করি তারা শুধু আমার কাছ থেকেই নয়, দলের সবার কাছ থেকেই অনেক কিছু শিখবে। নতুন ক্যাপের চকচকে রংটাও তো এখন একটু কমাতে হবে!’

শুরুর দিকে বাংলাদেশের টেস্ট সূচিতে কম ম্যাচ থাকায় মুশফিকও খুব বেশি টেস্ট খেলতে পারেননি। আয়ারল্যান্ড দল মাত্র ১২টি টেস্ট খেলেছে। আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বলবার্নি বলেন, ‘আমাদের চারজন নতুন টেস্ট ক্রিকেটার হয়েছে, যা সত্যিই বিশেষ কিছু। মুশফিকুর এ সপ্তাহে তার ১০০তম টেস্ট খেলেছে। তার অভিষেক হয়েছিল ২০ বছর আগে। আয়ারল্যান্ডের কোনো খেলোয়াড়ের ১০০ টেস্ট খেলতে হলে হয়তো ৫০ বছর লাগবে। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ দলের টেস্ট ক্রিকেটার হওয়া নিশ্চয়ই কঠিন ছিল; কিন্তু এখন মুশফিক এমন এক জায়গায় রয়েছে, যেখানে তারা যে কোনো দলের মতোই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। আমরা এগোচ্ছি, তবে এটি ধীরগতির একটি প্রক্রিয়া।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *