চার বছর আগে নিষিদ্ধ হলেও চীনে চুপিসারে আবার সক্রিয় হচ্ছে বিটকয়েন খনন বা মাইনিং। সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ও চীনের শক্তিসমৃদ্ধ কিছু প্রদেশে ডেটা সেন্টার বৃদ্ধির চাহিদাকে কাজে লাগাচ্ছে খনি পরিচালনায় থাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও কোম্পানি।
বিটকয়েন মাইনিং কার্যক্রম ট্র্যাকিং সাইট ‘হ্যাশরেট ইনডেক্স’ অনুসারে, এ নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্বজুড়ে চীনের বিটকয়েন মাইনিং বাজারের শেয়ার শূন্যে নেমে আসে। এরপর অক্টোবরের শেষ নাগাদ ১৪ শতাংশ নিয়ে ধীরে ধীরে তৃতীয় স্থানে পৌঁছেছে চীন।
চীনের বিটকয়েন খনির এই পুনরুত্থান কেবল খনি কার্যক্রমেই নয়, বরং রিগ বা মাইনিং যন্ত্র উৎপাদক কোম্পানি ‘ক্যানান ইনকর্পোরেটেড’-এর চীনে বিক্রির হার বাড়তেও দেখা গেছে। আর দেশটিতে মাইনিং বাড়লে তা বিটকয়েনের চাহিদা ও দামও স্থিতিশীল রাখতে সহায়ক হবে।
দেশটির সিনজিয়াং প্রদেশের এক খনির মালিক ওয়াং বলেছেন, গত বছরের শেষ দিকে এ শক্তিসমৃদ্ধ প্রদেশে মাইনিং শুরু করেছিলেন তিনি।
‘সিনজিয়াং থেকে অনেক বিদ্যুৎ বাইরে পাঠানো যায় না। ফলে আপনি তা ক্রিপ্টো মাইনিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারেন। আমার নতুন খনির প্রকল্প নির্মাণাধীন। আমি আসলে বলতে চাইছি, মানুষ সেখানেই মাইনিং করে যেখানে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ মেলে।’
বেইজিং ২০২১ সালে এই খাতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ায় স্থানীয় কার্যক্রম বন্ধ করে উত্তর আমেরিকা ও মধ্য এশিয়ার মতো বিদেশি বাজারে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল মাইনিং মালিকরা।
রয়টার্স লিখেছে, চীনে বিটকয়ের মাইনিং পুনরুদ্ধারের ওই সময়ে অক্টোবরে বিটকয়েনের দামও রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল। এমনটি ঘটেছে মূলত দুই কারণে। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ক্রিপ্টোকারেন্সির পক্ষে নীতি নিয়েছিলেন এবং ডলারের ওপর মানুষের আস্থা কমেছিল। ফলে এখন আগের চেয়ে বেশি লাভজনক হয়ে উঠেছে বিটকয়েন মাইনিং।
তবে বিশ্বজুড়ে ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা কমে যাওয়ার কারণে সেই ক্রিপ্টোকারেন্সির দাম অক্টোবরে চূড়ান্ত মূল্যের তুলনায় প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমেছে।