মহাকাশে আটকে পড়েছিলেন তিনজন নভোচারী। তাদের উদ্ধারের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে চীন। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারক সিসিটিভি জানিয়েছে, মানবহীন শেনঝো-২২ মহাকাশযান তিয়ানগং মহাকাশকেন্দ্রের সঙ্গে সফলভাবে যুক্ত হয়েছে।
চীনের গণমাধ্যম বলছে, লং মার্চ-২এফ রকেটটি শেনঝু-২২ মহাকাশযান নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুরের পরপর জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। চায়না ম্যানড স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, মহকাশে বর্তমানে তিনজন চীনা নভোচারী ঝাং লু, উ ফেই এবং ঝাং হংঝাং—তাদের মিশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
শেনঝো–২০ এর রিটার্ন ক্যাপসুলটি গত সপ্তাহে সন্দেহভাজন কক্ষপথের আবর্জনার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে তাদের পৃথিবীতে ফিরতে দেরি হচ্ছিল। গত ৫ নভেম্বর সংস্থাটি জানায়, ধ্বংসাবশেষের আঘাতে ক্যাপসুলটি ‘নভোচারীদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করছে না’। তাই বাধ্য হয়ে ক্রুকে কক্ষপথে অবস্থান বাড়াতে হয়।
পরে ব্যাকআপ লঞ্চ চালু করা হয়। মানবহীন শেনঝো-২২ মহাকাশযানটি উত্তর-পশ্চিম চীনের জিওকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে উড্ডয়ন করে। সফলভাবে তিয়ানগংয়ের সঙ্গে সংযুক্তও হয়।
শেনঝো–২১ ছিল চীনের ষষ্ঠ মানববাহী মিশন। এতে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী নভোচারী ছিলেন এবং বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার জন্য চারটি ইঁদুরকে পাঠানো হয়েছিল। গত সপ্তাহেই এই ইঁদুরগুলো শেনঝো–২০ এর ক্রুর সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরে আসে।
তখন তিন নভোচারী চেন দোং, চেন ঝোংরুই এবং ওয়াং জিয়ে—কক্ষপথে ২০৪ দিন কাটান। যা চীনা নভোচারীদের সবচেয়ে দীর্ঘ মহাকাশমিশনের নতুন রেকর্ড।