প্রথম দিনের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন কাগিসো রাবাদা। ৬ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে দিন শেষ করা প্রোটিয়াদের ১০০ রানের লিড হলেই চলবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে দ্বিতীয় দিনে সে লিড ২০২ পর্যন্ত টেনে নিয়েছে সফরকারীরা।
কাইল ভেরেইনের দারুণ সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে তারা ৩০৮ রান করে। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ১০১ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে। এখনো প্রোটিয়াদের চেয়ে ১০১ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা।
মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ছিল পুরোপুরি দক্ষিণ আফ্রিকার। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার কাইল ভেরেইন এবং উইয়ান মালডার মিলে সপ্তম উইকেটে গড়ে তোলেন ১১৯ রানের জুটি। মালডার (৫৪) ফিফটির পর হাসান মাহমুদের বলে ফিরলেও ভেরেইন প্রোটিয়াদের সংগ্রহ বাড়িয়ে নিতে থাকেন।
নবম উইকেট জুটিতে ড্যান পিয়েটকে নিয়ে ৬২ রানের জুটি গড়ে তোলেন দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটকিপার-ব্যাটার ভেরেইন। এর মধ্যে ১৩৪ বলে তিন অঙ্কের দেখা পেয়ে যান এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১১৪ রান করে দলের দশম ব্যাটার হিসেবে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে ১২২ রান খরচায় সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। তিন উইকেট যায় পেসার হাসান মাহমুদের ঝুলিতে।
বড় লিড সামনে পেয়ে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ৪ রানের মধ্যেই দুই উইকেট হারিয়ে ইনিংস হারের শঙ্কা জাগায় স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও তখন ব্যাটিং বিপর্যয়ের আশঙ্কা জেঁকে বসেছিল।
তবে দিন শেষে সে শঙ্কা কিছুটা হলেও দূরে ঠেলতে পেরেছে বাংলাদেশ। ৮০ বলে ৩৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় দিন শেষে তার রান ২৬ বলে ৩১। ২৩ রান করে কেশব মহারাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে তার রান ৩০।
লিড এখনো দূরের পথ হলেও দ্বিতীয় দিনের শেষবেলায় যে দৃঢ়তা দেখিয়েছেন জয়-মুশফিক, সেটা তৃতীয় দিনের সকালের সেশনে ধরে রাখতে পারলে ম্যাচে টিকে থাকার সম্ভাবনা বাড়বে বাংলাদেশের।