কখনো মায়ের অবাধ্য হন না বলিউডে এ প্রজন্মের ব্যস্ততম ও জনপ্রিয় অভিনেতা কার্তিক আরিয়ান। অর্থ, যশ, খ্যাতি— সবই পেয়েছেন তিনি। এখনো মাকে ভয় পান। মেনে চলেন মায়ের কথা। সে কারণে মায়ের নিষেধ, তাই কখনো মদ ছুঁয়ে দেখেননি তিনি। তবে নেশা একটা রয়েছে তার, আর সেটি কী জানালেন এ অভিনেতা।
এদিকে বক্স অফিসে প্রথম দিনেই ছক্কা হাঁকিয়েছে তার সাম্প্রতিক ছবি ‘ভুলভুলাইয়া ৩’। দীপাবলিতে মুক্তিপ্রাপ্ত এ ছবি ইতোমধ্যে ১০০ কোটি রুপি ছুঁয়ে ফেলেছে। এত সাফল্য, তবু মাথা ঘুরে যায়নি তার, মদ ছুঁয়ে দেখেননি কখনো। মায়ের নিষেধ ছিল তাই। মদ কেমন তা ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছাও হয়নি কখনো। তবে একটা নেশা আছে তার। সেখানেও মায়ের বাধা আছে বলে জানালেন অভিনেতা।
গাড়ি ও বাইকের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে কার্তিক আরিয়ানের। অভিনেতা নিজেই বলেন, মদপান বা এসবের থেকে অনেক বেশি গাড়ি ও বাইকের নেশা আমার। রয়্যাল এনফিল্ড থেকে স্পোর্টস বাইক ডুকাটি স্ক্র্যাম্বলারও রয়েছে তার। তবে চালানো হয় না। কার্তিক বলেন, ভীষণ বাইক চালাতে ভালোবাসি। ভালো ভালো বাইকও আছে তার। কিন্তু মা নিষেধ করে, তাই চালাই না। ওগুলো ওদের মতো পড়ে আছে। তিনি বলেন, একটা সময় তার তিন হাত ঘোরা একটি গাড়ি ছিল।
কার্তিকের ভাগ্যের চাকা ঘোরে চার-পাঁচটি ছবি করে ফেলার পর। কার্তিক বলেন, ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে তৃতীয়বার হাতবদল হওয়া একটি গাড়ি কেনেন শেষমেশ। তবে দুর্ভোগ সইতে হয়েছে যথেষ্ট। এ অভিনেতা বলেন, গাড়ির দরজা একবার বন্ধ হলে খুলত না সহজে। কিন্তু এ কারণে গাড়িটা কিনেছিলাম, যাতে রেড কার্পেটে যাওয়ার সময় অটো ধরতে না হয়। অসুবিধা থাকলেও ওই গাড়ির সঙ্গে একাত্মবোধ করতেন কার্তিক।
‘ভুলভুলাইয়া ২’-এর সাফল্যের পর প্রযোজক ভূষণ কুমার কার্তিককে একটি গাড়ি উপহার দেন। ভারতের প্রথম ম্যাকল্যারেন জিটি, দাম প্রায় ৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া নিজেই একটি কালো ল্যাম্বরঘিনি কিনেছিলেন তিনি। তার ডিকির ওপরেই খাবার খেতে দেখা গেছে এ অভিনেতাকে।