সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ অপরাহ্ন

বরুণের স্ত্রী-পরিবারের কথা শুনে কান্না চাপলেন সামান্থা, কিন্তু কেন?

বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১০ প্রদর্শন করেছেন

বলিউড অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু গুমরে মুখ ভার করে আছেন। কোনো রকমে ভেতরের কষ্ট চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। মুখে হাসি লেগে থাকলেও তার চোখ বলছে তিনি ভালো নেই। এমনই দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে।

আনন্দবাজার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে বলিউড অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য তাদের দাম্পত্যের ইতি টানেন। এরপর কেটে গেছে অনেকটা সময়। নিজেকে কাজে আরও বেশি মনোনিবেশ করেছেন এ অভিনেত্রী।  অন্যদিকে নাগা চৈতন্যও শোভিতা ধুলিপালার সঙ্গে জীবনের আরেকটি ইনিংস শুরু করতে চলেছেন। আগামী ৪ ডিসেম্বর চার হাত এক হচ্ছে তাদের। কিন্তু এত কিছুর পরও সামান্থার সময় যেন এগোয়নি। কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও মানসিকভাবে তিনি এখনো আগের জায়গায় আটকে রয়েছেন।

সম্প্রতি সামান্থা ও বরুণ ধওয়ান তাদের ওয়েব সিরিজ ‘সিটাডেল হানি বানি’র প্রচারে এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সামান্থা যেন গুমরে রয়েছেন। কোনো রকমে ভেতরের কষ্ট চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। মুখে হাসি থাকলেও তার চাপা কষ্ট ফুটে উঠেছে। তার চোখ বলছে তিনি ভালো নেই। এমনই অনুমান তার ভক্ত-অনুরাগীদের।

ঠিক কী হয়েছিল?—এমন এক প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা বরুণ তার নিজের পরিবার নিয়ে কথা বলছিলেন। তিনি বলেন, এটা আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পর্ব ছিল। আমি আর নাতাশা সেই সময়ে পরিবার-পরিকল্পনা করি। ‘সিটাডেল হানি বানি’ সিরিজে আমার চরিত্র বানিও খুব পরিবারকেন্দ্রিক। নায়ক পরিবার চায়। আমার মধ্যেও এই চাহিদা রয়েছে। তাই চরিত্রটি সহজে বুঝতে পারি।

বরুণ নিজের স্ত্রী নাতাশা ও তার পরিবার নিয়ে কথা বলছিলেন ঠিকই। কিন্তু দর্শকদের চোখ ছিল সামান্থার ওপর। এ কথাবার্তার সময়ে সামান্থার চোখের কোণ যেন হঠাৎই চিকচিক করে ওঠে। নেটিজেনরা বুঝতে পারেন এমন পরিস্থিতি— সামান্থা বোধহয় চিৎকার করে কাঁদতে চাইছেন। আরেক নেটিজেন লিখেছেন—আমার সত্যিই সামান্থার জন্য খুব খারাপ লাগছে। তিনিও তো এমনই একটা পরিবার চেয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সামান্থা ও চৈতন্য বাগদান পর্ব সেরেছিলেন। ২০১৯ সালে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু সেই সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। জানা গেছে, সন্তান ধারণের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন সামান্থা। কিন্তু সেই সময় বিচ্ছেদ ঘটে যায়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ