শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন

ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যে আশঙ্কা জেলেনস্কির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশের সময়ঃ শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৯ প্রদর্শন করেছেন

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণে অধীনে অচিরেই যুদ্ধ শেষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।  শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে সঙ্গে আলাপে এ মন্তব্য করেন তিনি।  অথচ আগে থেকে জেলেনস্কি আশঙ্কা করছিলেন, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের মতো অকুণ্ঠ সমর্থন পাবেন না তিনি।

বরাবরই রাশিয়ার বিরুদ্ধে সংঘাতকে আরো বিস্তৃত করার পক্ষে কণ্ঠস্বর ছিলেন জেলেনস্কি। এ কারণে ইউরোপীয়ন ইউনিয়নসহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহু সুবিধা আদায় করে নিয়েছেন তিনি।  মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে রাশিয়ার অভ্যন্তরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে আবদার করেছিলেন জেলেনস্কি।  আর সময় যেতেই এখন সুর নরম করলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট।

৫ নভেম্বর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের বিজয় ইউক্রেনের জন্য ভবিষ্যত পশ্চিমা সামরিক সহায়তা সম্পর্কে নতুন অনিশ্চয়তার সূচনা করেছে।  কারণ রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে বড় আকারের প্রতিরক্ষা দিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা মিত্র।  প্রেক্ষাপট বদলে যাওয়ায় এবার জেলেনস্কির কণ্ঠের শান্তির বার্তা।

জেলেনস্কি বলেন, ‘একটি ন্যায্য শান্তি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনার (ইউক্রেনীয়দের) উপর চাপিয়ে দেওয়া অবিচারের জন্য আমরা সেরাটা হারিয়ে ফেলেছি এমন কোনো অনুভূতি না হয়।  যুদ্ধ শেষ হবে, কিন্তু সঠিক কোনো তারিখ নেই’।

‘অবশ্যই, এখন হোয়াইট হাউসের নেতৃত্ব দেবে এই দলের নীতির সাথে, যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে। এটি  (ট্রাম্প প্রশাসন এবং রিপাবলিকানদের) তাদের দৃষ্টিভঙ্গি, সমাজের প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং এটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

ট্রাম্প কিয়েভকে মস্কোর সঙ্গে আলোচনার দাবি করেছেন কিনা জানতে চাইলে জেলেনস্কি ইউক্রেনের স্বাধীনতার ওপর জোর দেন।

‘এই যুদ্ধের সময়, আমাদের জনগণ এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনায়- ট্রাম্প, বাইডেন এবং ইউরোপীয় নেতাদের দেখিয়েছি যে ‘‘বসুন এবং শুনুন’’ এর বক্তৃতা আমাদের সাথে কাজ করে না’।

নির্বাচনি বিজয়ের পরে খবর বেরোয়, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ফোনকলে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন ডোনাল্ড।  দাবি করা হয়, এই ফোন কলে পুতিনকে যুদ্ধ না বাড়াতে সতর্ক করেছিলেন ট্রাম্প। যদিও ক্রেমলিন পরে অস্বীকার করে বলেছে, এই ধরনের ঘটনা তারা জানে না।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারীতে ইউক্রেনে মস্কোর পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর থেকে মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে। যা পশ্চিমা বিশ্বের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুতিনকে একজন ব্যক্তিত্বহীন ব্যক্তি হিসাবে উপস্থাপন করেছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ধরনের আরও সংবাদ