তনয়া পালকে ‘জান’ সম্বোধনে মিষ্টি বার্তা— ১২ বছর ধরে আমার পাশে তুমি। ভালোয়-মন্দোয় কখনো হাত ছাড়নি। আর হাত ছাড়নি বলেই আমি এখনো এগিয়ে যেতে পারছি। শেষ দিন পর্যন্ত এভাবেই পাশে থেকো। কারণ এই প্রজন্ম সম্পর্ক গড়তেই ভয় পায়, আর বিয়ে তো দূরের কথা— সেখানে এক ছাদের নিচে ১২ বছর কাটিয়ে দিলাম।— বিয়ের জন্মদিনে আনন্দবাজার অনলাইনকে এভাবে হাসতে হাসতে জানালেন টালিউড অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী।
বিয়ের ১২ বছর পূর্ণ হলো গতকাল। বিয়ের জন্মদিন বলে কথা। তাই অভিনেতাকে ফোন করে জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। বিধায়ক-প্রযোজক-অভিনেতা প্রথমে সংশোধন করে দিয়ে বললেন— প্রেমজীবন ছয় বছরের। বিয়ের বয়স ১২ বছর। সব মিলিয়ে ১৮ বছর একসঙ্গে। তিনি বলেন, যাকে বলে— আমাদের সম্পর্কের সাবালক! তার পর হাসতে হাসতে জানালেন মনের কথা।
সোহম বলেন, স-ব আছে। রাগ, মান-অভিমান-খুনসুটি। এগুলো আছে বলেই তো দাম্পত্য টিকে গেল। পাশাপাশি অনুযোগ, প্রেমজীবনকে একটু হলেও মিস করছেন। কারণ তখন মন খুলে অনেক কথা বলা যেত। বিয়ের পর থেকে অনেক সাবধানে কথা বলতে হয় তাকে। এ অভিনেতা বলেন, যতই খিটিমিটি বাধুক, তনয়া সোহমকে ছেড়ে চট করে বাবার বাড়িতে যায় না।
এমনিতেই নায়কের ঘরণী মানে প্রচণ্ড দুশ্চিন্তা। বিপজ্জনক শুটিং তো আছেই, পাশাপাশি— গুঞ্জন অগুন্তি। সেই কারণে কি বউ এখনো চোখে চোখে রাখছেন? এমন প্রশ্ন শুনে ফোনের ওপারে দরাজ হাসি। সোহম বলেন, এটা তো ভেবে দেখিনি। মনে হয় আমায় ছেড়ে থাকতে পারে না। এটিও একটি কারণ হতে পারে।
বিয়ের দিন তনয়াকে নিয়ে সোহম সকাল সকাল পৌঁছে গিয়েছিলেন কালীঘাটে। ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিতে। সন্ধ্যায় থাকবেন লেক কালীবাড়িতে। ভোগ খাবেন, ভোগ বিতরণও করবেন। আর দুপুরে একান্তে খাওয়াদাওয়া সারবেন কোনো হোটেলে। মেন্যুতে কী? আজ শনিবার (২৩ নভেম্বর), নিরামিষ। ফলে ওই ধরনের যা যা ভালো খাবার হয় খাব।
এই প্রজন্মকে বিয়েতে আস্থা ফেরাতে কোনো পরামর্শ? এমন প্রশ্নের উত্তরে সোহম বলেন, আগের দিনের মতো প্রেমে আন্তরিকতা থাকুক। থাকুক ভরসা আর বিশ্বাস। প্রেম-বিয়ে সব টিকে যাবে। তার পরেই ছোট্ট দুষ্টুমি করে বললেন, ভরসা আর বিশ্বাস করে বলেই ১২ বছর ধরে ‘নায়ক’-এর ঘর করতে পারল তনয়া।