দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ চলছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের। সংস্কারের অগ্রগতি দেখতে শনিবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী স্টেডিয়ামে আসেন।
গ্যালারি, মাঠ পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পোলের পাশাপাশি কেনোপি (গ্যালারি শেডে) পদ্ধতিতেও লাইট স্থাপনের প্রস্তাবনা আছে। আমরা বুয়েটের কাছ থেকে এই সংক্রান্ত পরামর্শ নেব।’
বুয়েটের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, বাফুফে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বৈঠক করে সিদ্ধান্তে পৌঁছবে। আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ আয়োজনে ফ্লাডলাইটে দুই হাজার লাক্সের বেশি আলো প্রয়োজন। বাফুফে সেই চাহিদা আরও বাড়িয়ে উন্নতমানের টিভি প্রোডাকশনের জন্য তিন হাজার লাক্সের চাহিদা দিয়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তা পূরণের চেষ্টা করছে।
যে পদ্ধতিতেই লাইট স্থাপন করা হোক সেটা দ্রুত এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবের, ‘ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে লাইট চূড়ান্ত করেছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি লাইট স্থাপনের কাজ শুরু হবে। এর মধ্যেই আমরা বুয়েটের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত বা পরামর্শ পেয়ে যাব। আমাদের লক্ষ্য থাকবে সাফ অ-২০ নারী টুর্নামেন্ট এই স্টেডিয়ামে আয়োজনের।’
১১ ফেব্রুয়ারি সাফ অ-২০ নারী ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হবে। বাংলাদেশ এই টুর্নামেন্টের স্বাগতিক।
বাফুফের পরিকল্পনা রয়েছে নারীদের টুর্নামেন্টটি এই মাঠে আয়োজনের। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ও এতে একমত। সচিবের কথায়, ‘উপদেষ্টা মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা দ্রুত কাজ শেষের তাগিদ দিয়েছি সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে। ফ্লাডলাইট ছাড়া বাকি কাজগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। আমরাও চাই নারীদের টুর্নামেন্টের আগে সব কাজ শেষ করতে।’
দেড়শ কোটি টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ চলছে। স্টেডিয়ামের পরিবেশ খেলাধুলা উপযোগী নয়। নোংরা ও কোলাহলময়। এ বিষয়ে সচিব বলেন, ‘স্টেডিয়ামের সৌন্দর্যের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও নির্দেশনা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গ্রহণ করবে।’
স্টেডিয়াম সংস্কার কাজ পরিদর্শনে মন্ত্রণালয়ের সচিব ছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম, বাফুফের নির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রকল্প পরিচালক ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।