যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে ভোটে জয়ী হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আরব নেতারা। কেউ কেউ আশা করছেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারবেন। আবার কেউ ইরানের বিরুদ্ধে তার আরো কঠোর অবস্থানের আশা করছেন।
সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতা এবং কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদসহ আরব বিশ্বের সব নেতারাই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বৈরুতের রিসার্চ সেন্টার ফর কো-অপারেশন এন্ড পিস বিল্ডিং-এর প্রেসিডেন্ট দানিয়া কোলেইলাত খতিব ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, নির্বাচনের সময় ট্রাম্প বাইডেনের আরও লেনদেনমূলক পদ্ধতির তুলনায় এই ধরনের নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপর জোর দিয়েছিলেন।
খতিব বলেন, আরব নেতারা চান ট্রাম্প যেন গাজা ও লেবাননে যুদ্ধের অবসান ঘটান।
তিনি বলেন, নির্বাচনি প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান প্রতিশ্রুতি ছিল গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানো। কিন্তু কীভাবে অবসান ঘটানো হবে? আমরা জানি না। উদ্বেগের বিষয় হলো ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ইরানকে আক্রমণ করছেন। এটা খুব বড় ব্যাপার। ইরানকে মোকাবিলা করা ট্রাম্পের জন্য সহজ হবে না।
ধনী উপসাগরীয় দেশগুলো ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করেছে এবং ইসলামিক এই প্রজাতন্ত্রটিকে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, তারা ইরানের ওপর হামলা চালানোর জন্য ইসরাইলকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না।
নির্বাচনের প্রতিক্রিয়ায় ইরান নির্বাচনের ফলাফলকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে বলেছে, তারা ইসরাইলের সঙ্গে সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত।
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি, লেবাননের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী নাজিব মাকাতিও ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ক্রমবর্ধমান সংঘাত নিরসনে আলোচনার চেষ্টায় যারা জড়িত, তারাও ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
আম্মানের বিশ্লেষক ওসামা আল শরিফ বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন আগামী বছর প্রেসিডেন্টের অভিষেকেরাগেই সংঘাতের অবসান ঘটাতে নেতানিয়াহুকে চাপ দেবেন ট্রাম্প।
আল শরিফ অবশ্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, ট্রাম্প ইসরাইলের বর্তমান কঠোর ডানপন্থী সরকারের অধীনে পশ্চিম তীরের বেশিরভাগ অংশের ইসরাইলের সংযুক্তির স্বীকৃতি দিতে পারেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন ও জর্ডানের জন্য বিষয়গুলোকে নাটকীয়ভাবে জটিল করে তুলবে।