উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের স্বার্থ জড়িত এমন একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যে চুক্তিতে দুদেশের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা বিধানের কথা উল্লেখ্য রয়েছে। শনিবার মস্কোর প্রকাশিত এক ডিক্রিতে এমনটি জানানো হয়েছে।
পিয়ংইয়ংয়ে একটি শীর্ষ বৈঠকের পর গত জুন মাসে পুতিন এবং উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সশস্ত্র হামলার ক্ষেত্রে একে অপরের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। যা চলতি সপ্তাহে অনুমোদন দিয়েছে রাশিয়ার উচ্চকক্ষ। এর আগে নিম্নকক্ষ চুক্তিটির অনুমোদন দিয়েছিল গত মাসে।
পুতিন চুক্তিটির অনুসমর্থনে একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন। যা শনিবার দেশটির সরকারি ওয়েবসাইটে আইন প্রণয়ন পদ্ধতির রূপরেখায় প্রকাশিত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে মস্কো এবং পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করবে। যা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে আরও শক্তিশালী করবে।
এদিকে গত বেশ কিছুদিন ধরেই দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করছে। ইউক্রেনের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে তারা রাশিয়ান হামলার জায়গায় কোরিয়ান অস্ত্রের চিহ্ন খুঁজে পেয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ায় ১১ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে। যাদের সঙ্গে কিয়েভের বাহিনীর কুরস্ক অঞ্চলে যুদ্ধ হয়েছে। যেখানে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে গেছে।