গত শুক্রবার বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে ব্রাত্য বসুর সিনেমা ‘হুব্বা’। ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশি অভিনয়শিল্পী মোশাররফ করিম। মুক্তির পর থেকেই প্রশংসা পাচ্ছে ছবিটি, হুব্বার চরিত্রে মোশাররফ করিমকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সমালোচকেরা।এই সমালোচনায় আরও বলা হয়েছে, ‘এলাকার ডন আর পুলিশের লড়াই কেমন চাবুক টানটান হতে পারে, ইন্দ্রনীল আর মোশাররফের দৃশ্যগুলো দেখিয়ে দিয়েছে। এই পুলিশেরই দাম্পত্য জীবনে কত জটিল বাঁক থাকতে পারে, তা-ও দেখার।’
হিন্দুস্তান টাইমসের বাংলা সংস্করণে সিনেমাটি সম্পর্কে লেখা হয়েছে, ‘সব মিলিয়ে বলা যায়, বাংলার প্রেক্ষাপটে আরও একটা “ডন” বানিয়ে ফেলেছেন পরিচালক ব্রাত্য বসু।মোশাররফের অভিনয় নিয়ে রূপম বলেন, ‘এই ছবির প্রথম ইতিবাচক দিক মোশাররফ করিম। তাঁর থেকে ভালো চরিত্রটি কে করতে পারবেন, আমি জানি না। তিনি যে রকমভাবে চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন, তা অবিশ্বাস্য। আমি যখন হলে ছবিটি দেখছিলাম, তখন লক্ষ করলাম, অনেকে তাঁর নাম জানেন না; কিন্তু তাঁরা বারবার তাঁর পারফরম্যান্সের প্রশংসা করছিলেন। এটাই বোধ হয় অভিনেতার সার্থকতা। তিনি যেভাবে একটি দৃশ্য নিজের সঙ্গীকে ঘুষি মারছেন, পরক্ষণেই আবার কমেডি সংলাপ বলছেন; এরপর আবার চরিত্রটি পুরোপুরি অন্যদিকে যাচ্ছে—পুরো ছবিটিতেই চরিত্রের এ বাঁকবদল তিনি যেভাবে সামলেছেন, সেটা দারুণ।’ব্রাত্য বসু ছবিটি বানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের কুখ্যাত গ্যাংস্টার হুব্বা শ্যামলকে নিয়ে। তাঁকে বলা হতো ‘হুগলির দাউদ’। ছবির শুরুতে হুব্বাকে ধরতে উঠে পড়ে লাগে জাঁদরেল আইপিএস অফিসার দিবাকর সেন (ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত)। শুরু হয় ইঁদুর-বিড়াল খেলা। এরপর কী হয়, তা নিয়েই সিনেমা।মোশাররফ করিম, ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত ছাড়াও ‘হুব্বা’য় অভিনয় করেছেন পৌলমী বসু, শ্রাবণী দাস, সৌমিক হালদার।