ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালানোর সময় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস যোদ্ধারা যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছে জাতিসংঘের একটি দল। খবর বিবিসি। হামাসের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ খুঁজে পেয়েছে দলটি। এছাড়া হামাসের কাছে থাকা জিম্মিরাও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। অবশ্য এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে হামাস। সংঘাতে যৌন সহিংসতা বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমিলা প্যাটেনের নেতৃত্বে নয় সদস্যের ওই বিশেষজ্ঞ দল গত ২৯ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েল সফর করেন। পরে এ সম্পর্কে এক প্রতিবেদন তৈরি করেন তারা। তবে কাজটি অভিযোগের তথ্য সংগ্রহ ও যাচাইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সফরকালীন ইসরায়েলি প্রতিনিধিদের সাথে অন্তত ৩৩ বার বৈঠক করেন বিশেষজ্ঞ দল। পাঁচ হাজারেরও বেশি স্থিরচিত্র ও ৫০ ঘণ্টার ভিডিও ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হামলা চালানোর সময় বিভিন্ন স্থানে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে। এরকম তিনটি স্থানের কথা উল্লেখ করেছেন তারা। এগুলো হলো-নোভা মিউজিক উৎসব, রোড ২৩২ এবং কিব্বুত রিউম। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামাসের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার নারীদের এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানায় দলটি। কিন্তু তারা কারো সাক্ষাৎকার নিতে পারেননি। এছাড়া কিছু অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে পারেননি। তবে তারা স্পষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেয়েছেন যে, যৌন নির্যাতন, জিম্মিদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণসহ যৌন সহিংসতা করা হয়েছে। এখনও বন্দিদের বিরুদ্ধে এই ধরনের সহিংসতা আরও চলতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫৩ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। এরপর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত ৩০ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।