২০২৩ সালের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম হলেও এতে আক্রান্ত হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া এবার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গুতে মারা গেছেন।
মহাপরিচালক জানান, এ বছর ঢাকা সিটিতে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী মানুষ বেশি মারা গেছেন। যাদের বেশিরভাগই কর্মক্ষম ব্যক্তি। অন্যদিকে চট্টগ্রামে শিশু ও বয়স্ক মানুষের মৃত্যুহার বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. হালিমুর রশিদ বলেন, ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ, যা মূলত গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশগুলোতে হয়ে থাকে। সাধারণত ডেঙ্গু রোগটি শহরাঞ্চলের একটি রোগ, তবে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশেও বর্তমানে গ্রামাঞ্চলে রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। সবমিলিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত (১ ডিসেম্বর) ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯২ হাজার ৩৫১ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৯৪ জন।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতেও রাজধানী ঢাকা এগিয়ে উল্লেখ করে হালিমুর রশিদ জানান, ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে সর্বমোট মৃত্যুর ১ হাজার ১৬৩ জনই ছিলেন ঢাকার বাসিন্দা, তবে এ বছর রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৩৯ জনের। গত বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিল ১২৪ জনের, এ বছর মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। গত বছর খুলনা বিভাগে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছিল ২০৬ জনের, এ বছর মারা গেছে ২৭ জন।
এছাড়া বরিশালে গত বছর ১২৫ জন এবং এ বছর ৫৬ জন, ময়মনসিংহে গত বছর ৬০ জন এবং এ বছর ১৩ জন, রাজশাহীতে গত বছর ১৬ জন এবং এ বছর ৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ বছর সিলেটে ডেঙ্গুতে কোন মৃত্যু হয়নি। গত বছর সেখানে ১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রংপুরে গত বছর ১০ জন মারা গিয়েছিল, এ বছর মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।